প্রকাশিত:
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৯
বিএনপির নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রতি জনগণের কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির প্রতি জনগণের একধরনের ঘৃণা রয়েছে। যে কারণে জনগণ বারবার তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।
২১ এপ্রিল রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো আওয়ামী লীগের বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অভূতপূর্ব উন্নয়ন, অগ্রগতি ও ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ ও দেশের জনগণকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যা দেখে বিএনপির গাত্রদাহ হয়। তারা দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে উসকানি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেই রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। ব্যর্থ রাজনীতির ধারায় হোঁচট আর ঝাঁকুনির প্রকোপে পর্যুদস্ত বিএনপি। এ ঝাঁকুনি হলো বারবার পরাজয়ের ঝাঁকুনি। হতাশার গভীরে নিমজ্জিত হয়ে বিএনপি নেতাদের বোধশক্তি লোপ পেয়েছে। দিনদিন তারা দেশ, রাষ্ট্র ও জনগণকে শত্রুতে পরিণত করে চলেছে।
বিএনপির অর্জনগুলো বর্তমান সরকার ধ্বংস করেছে-দলটির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্ধকারের অপশক্তি ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের প্রতিভূ সন্ত্রাসী দল বিএনপি দেশের অগ্রগতি এবং জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কী ভূমিকা রেখেছে? বরং দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে হত্যা, গুম ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির প্রচলন করেছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান। অসাংবিধানিক ও অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তিনি বিরোধী দল ও মত দমনে ইতিহাসে নজির স্থাপন করেছিলেন।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বিএনপির আমলে রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। বরং তারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করেছে। এগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না দিয়ে বিএনপির কার্যালয় ও হাওয়া ভবনের সঙ্গে অঙ্গীভূত করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল। এগুলোই বিএনপির অর্জন, যা জনগণ বর্জন করে আসছে। জনগণের বর্জিত বিএনপি কখনোই ইতিবাচক কিছু অর্জন করতে পারবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও সুদৃঢ় নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জনগণ চেয়েছে বলেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে এসেছে। দেশের স্বার্থ আর জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। আর সরকার যে জনগণের সেবক-বাংলাদেশে এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত করেছে আওয়ামী লীগই। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক সংগঠন। তাই যে অপশক্তি দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আওয়ামী লীগের শত্রু হিসাবে গণ্য হবে।
মন্তব্য করুন: