প্রকাশিত:
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৮
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাত কেন্দ্র করে প্রতিদিনই বাড়ছে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দেশটির সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্যের সংখ্যা। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৬১ জন সে দেশের সেনা ও বিজিপির সদস্যকে রাখা হয়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি আওতাধীন বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
এ অবস্থায় উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, তাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে তৈরি হচ্ছে নানামুখী সমস্যা। বাংলাদেশে ঢুকে পড়া মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় স্থানীয়রা, আছে নিরাপত্তা শঙ্কাও।
এদিকে চলতি মাসের দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। তাই এর মধ্যে আশ্রিত মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির সদস্যদের সে দেশে ফেরত না পাঠালে ৪৭৫ শিক্ষার্থীর পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে জানান অভিভাবকরা।
গেল দেড় মাসে নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে কয়েক দফায় পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছেন মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ২৬১ সদস্য। যাদের বিজিবি হেফাজতে নিয়ে আশ্রয় দিয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি জোনের বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপি সদস্যদের আশ্রয় দিতে গিয়ে পড়তে হচ্ছে তাদের নানামুখী সমস্যায়।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার বলেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসাদের দ্রুত স্বদেশে ফেরত পাঠালে এলাকার ভীতিকর পরিস্থিতি কেটে যাবে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষের কারণে সীমান্তের টহল বাড়ানোর পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
এ বিষয়ে বিজিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কোনো প্রকার জটিলতা সৃষ্টি না হলে চলতি এপ্রিলেই মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জান্তা সদস্যদের তাদের দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হতে পারে। ২৬১ জনের মধ্যে বিজিপি ছাড়াও সেনাসদস্য রয়েছেন। তবে কোন বাহিনীর কতজন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। যেহেতু বিদ্যালয়টি বিজিবির অধীন, সেহেতু তারা অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে, যাতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সমস্যা না হয়।
মন্তব্য করুন: