প্রকাশিত:
৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১১
ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ। তবে মহাসড়কে কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। ফলে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন।
এদিকে, সোমবার সব পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাত থেকেই মহাসড়কে যাত্রীদের ঢল নামে। যানবাহন পেতে যাত্রীদের কোনো দুর্ভোগের শিকার হতে না হলেও নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ করেছেন অধিকাংশ যাত্রী।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের শিমরাইল মোড় এলাকায় সরেজমিন গিয়ে এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে।
আজিজুল নিশাত রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, গতবারের চেয়ে এবার মহাসড়কের পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো রয়েছে। তবে বেশি ভাড়া আদায় করার বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নজরদারি করলে আমরা উপকৃত হতাম।
মারুফ নামে আরেক যাত্রী বলেন, ফেনী যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছি। টিকিট পেতে কোনো সমস্যায় পড়তে না হলেও বাসের জন্য এখন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বাস পেয়ে গেলে আশা করি স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রামে যেতে পারবো।
সেলিম রানা নামে এক চাকরিজীবী বলেন, সোমবার ঈদের ছুটি পেয়েছি। তাই কেনাকাটা করে আজ গ্রামে যাচ্ছি। দুর্ভোগ এড়াতে গত সপ্তাহেই পরিবারকে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে এক বাসচালক বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রচুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকার কারণে যান চলাচলে কোনো সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। এক স্থান থেকে আরেক স্থানে আমরা সহজেই চলে আসতে পারছি।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (টিআই) একেএম শরফুদ্দিন বলেন, মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, ঘরেফেরা মানুষের এবারের ঈদযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং নিরাপদ হবে।
মন্তব্য করুন: