মঙ্গলবার, ২০শে মে ২০২৫, ৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্পিনিং মিলে ভয়াবহ আগুন, ক্ষতি ২৫ লাখ টাকা
  • যা বললেন নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী
  • এই ৪টি প্রশ্নেই ধরা পড়বে আপনার সম্পর্ক টিকবে কি না
  • যে প্রতিজ্ঞায় বদলে গেছেন স্টোকস
  • পাকিস্তানের কাছে তথ্য পাচার, এক ইউটিউবারই মোদীর আসন নাড়িয়ে দিলো
  • নৌবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা খুলনায় ৯ জন প্রতারক গ্রেপ্তার
  • গভীর রাতে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর ভোরে স্বামীর আত্মসমর্পন
  • ভারত-পাকিস্তান সংকট বোঝার জন্য যে পাঁচটি মূল বিষয় জানা উচিত
  • এন্ট্রি-লেভেল চাকরির জন্য সেরা ১০টি মার্কিন শহর
  • দেশে স্টারলিংক চালু, মিলবে যেসব সুবিধা

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

একশো বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৫ জুন ২০২৩, ২২:০৫

২০৩০ সালের মধ্যে দেশে একশো বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার পূরণ করতে সকল ব্যবসায়ীদের একযোগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

 

রবিবার 2৫ জুন রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত সিআইপি (রপ্তানি ও ট্রেড) ২০২১ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

 

সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী ২২টি রপ্তানি পণ্য খাতের মধ্যে ১৯টি পণ্য ও সেবা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় ২০২১ সালে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রপ্তানি) এবং ৪০ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে পদাধিকার বলে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।

 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১ শো বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আমি বিশ্বাস করি দেশের সকল ব্যবসায়ী সমাজ যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে তাহলে এই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

 

টিপু মুনশি জানান, করোনা মহাসংকটের পর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী আমদানি-রপ্তানিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যেও আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রেখেছেন। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা বিবেচনায় আমদানির পাশাপাশি রপ্তানি অব্যাহত রেখেছেন। শুধু তাই অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।

 

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের মানুষের স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য সারা জীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। বাঙালিকে এনে দিয়েছেন লাল সবুজ পতাকা। যে পাকিস্তান আমাদের দেশের মানুষকে শোষণ করেছে, অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে সেই পাকিস্তান আজকে অর্থনীতির সকল সূচকে বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়েছে।

 

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

 

উল্লেখ্য, দেশের রপ্তানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করাই সিআইপি (রপ্তানি) কার্ড প্রদানের উদ্দেশ্য। এছাড়াও সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশী ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ়করণের পাশাপাশি দেশের সার্বিক রপ্তানিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর