প্রকাশিত:
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৫০
পবিত্র রমজানে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে এসেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ ভ্যান। গরু, খাসি ও মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে। আরও রয়েছে দুধ, ডিম। ক্রেতারাও ভিড় করেছেন ভ্যানের সামনে। কিন্তু সবার আগ্রহ মাংস কেনায়। বিক্রি শুরুর দেড় ঘণ্টারও কম সময়ে মাংস শেষ হতেই ভিড় উধাও। পড়ে ছিল দুধ–ডিম।
এমন চিত্র দেখা গেল আজ রোববার সকালে, রাজধানীর মহাখালী দক্ষিণপাড়ার নিকেতন বাজার সড়কে।
রোজা উপলক্ষে রাজধানীর ২৫টি জায়গায় ভ্রাম্যমাণ ভ্যানে করে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এর অংশ হিসেবে একটি ভ্রাম্যমাণ ভ্যান মহাখালী দক্ষিণপাড়ায় সকাল ১০টার দিকে এসব বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে।
ভ্যানটিতে ৮০ কেজি গরুর মাংস, ৬০ কেজি চামড়া ছাড়া ব্রয়লার মুরগির মাংস, ৫ কেজি খাসির মাংস, ১৮০ লিটার দুধ ও ২ হাজার ১০০টি ডিম ছিল।
বিক্রি শুরুর সময় থেকেই ভ্যানের সামনে ছিল ক্রেতাদের ভিড়। অনেকে মাংস কিনতে এসেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১১টা ২৫ মিনিটের মধ্যে শেষ হয় মুরগির মাংস। এর আগে সাড়ে ১০টা নাগাদ খাসির মাংস আর বেলা সোয়া ১১টার দিকে গরুর মাংস শেষ হয়ে যায়। মাংস শেষ হতেই পুরো ফাঁকা হয়ে যায় ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের আশপাশ।
মূলত সোয়া ১১টা থেকেই ভিড় কমতে শুরু করে। একের পর এক ক্রেতা জানতে চান, গরুর মাংস আছে কিনা? বিক্রেতারা ‘না’ বললে অনেকেই সারি থেকে বেরিয়ে যান। সাড়ে ১১টার আগে আগে যখন মুরগির মাংসও শেষ হয়ে যায়, তখন ভ্যানের সামনে আর কোনো ক্রেতা দেখা যায়নি।
বিক্রেতারা বললেন, সাড়ে ১১টার দিকে মাংস শেষ হয়ে গেলেও তাঁদের কাছে তখনো ১ হাজার ২০০টি ডিম ও ৭০ লিটারের মতো দুধ ছিল। দু-একজন করে ক্রেতা এসে দুধ আর ডিম কিনছেন।
দুধ আর ডিম কিনছিলেন রুহুল আমিন। তিনি মহাখালী দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা। বললেন, শুধু দুধ আর ডিম নয়, মাংসও কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু কিনতে পারিনি। শেষ হয়ে গেছে। তাই এখন তিন লিটার দুধ আর দুই ডজন ডিম কিনলাম।
ভ্রাম্যমাণ ভ্যানের ক্যাশিয়ার ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এখানে গরুর মাংসের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। মাংস শেষ হয়ে গেলে দুধ আর ডিম বিক্রি করা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
মন্তব্য করুন: