সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে
  • আবারও যাত্রাবাড়ী মোড় অবরোধ ব্যাটারি রিকশাচালকদের
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে

জগন্নাথের ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় ঢাকায় আটক দুজনকে কুমিল্লায় আনা হচ্ছে

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৩:৪৭

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলার দুই আসামি দ্বীন ইসলাম ও রায়হান সিদ্দিককে ঢাকা থেকে কুমিল্লায় আনা হচ্ছে। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন আজ রোববার দুপুরে প্রথম আলোকে বিষয়টি জানিয়েছেন।


আসামি দ্বীন ইসলামের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের আমিননগর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের প্রয়াত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। দ্বীন ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ছিলেন।

ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম একটি মামলা করেন। মামলার ১ নম্বর আসামি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক ওরফে আম্মান। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পুরাড়দাইড় গ্রামের আবদুল হাই সিদ্দিকের ছেলে। ওই দুজনকে গতকাল রাতে ঢাকা থেকে আটক করে পুলিশ। ওসি ফিরোজ হোসেন জানান, অবন্তিকার মায়ের করা মামলায় ওই দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

তাহমিনা বেগম মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ‘১৫ মার্চ রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কুমিল্লা নগরের বাগিচাগাঁও অরণি বাসার দোতলায় আমার মেয়ে অবন্তিকা বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। রায়হান সিদ্দিক বিভিন্ন মাধ্যমে আমার মেয়েকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন করে। বিষয়টি সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানো হয়। তবে রায়হানের পক্ষে অবস্থান নেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। তিনি আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। আত্মহত্যার আগে সে ফেসবুকে রায়হান ও দ্বীন ইসলামকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিল।


এ অভিযোগ সম্পর্কে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে দ্বীন ইসলাম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে তিনি বলেন, ‘অবন্তিকার সঙ্গে আমার দেড় বছরের মতো যোগাযোগ নেই। শুধু ফেসবুকের স্ট্যাটাস দিয়ে কাউকে ভুল বুঝবেন না। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তদন্তের স্বার্থে সহযোগিতা করব।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর