সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে
  • আবারও যাত্রাবাড়ী মোড় অবরোধ ব্যাটারি রিকশাচালকদের
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে

জিম্মি হওয়া সেই জাহাজ থেকে মাকে যা বললেন নাবিক

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৪, ১১:০৫

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এবং ২৩ নাবিক ও ক্রুদের মধ্যে রয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জয় মাহমুদ।

 

১২ মার্চ মঙ্গলবার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর জয় মাহমুদ তার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এ ঘটনা শোনার পর থেকেই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তার পরিবার ও স্বজনরা।

জিম্মি জয় মাহমুদ জেলার বাগাতিপাড়ার সালাইনগর দক্ষিণপাড়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে। তিনি ওই জাহাজের সাধারণ নাবিক (ওএস) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশের এমভি আবদুল্লাহ নামে একটি পণ্যবাহী জাহাজ কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিকের মাফতো বন্দর থেকে আরব আমিরাতের (শারজাহ হামারিয়া) বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। পরে ১২ মার্চ  মঙ্গলবার দুপুরে জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। সেখানে হামলা চালিয়ে দখলে নিয়ে বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ এবং ২৩ নাবিক ও ক্রুদের জিম্মি করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। তাদের অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল বলে জানা গেছে।

জয়ের চাচাতো ভাই মো. মারুফ আলী বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ভাই ফোন দিয়ে বলে 'তাদের জাহাজ জলদস্যুরা আক্রমণ করেছে। আমার সঙ্গে আর কথা নাও হতে পারে। বাড়িতে কাউকে কিছু বলিস না'। ফোন নিয়ে নিতে পারে বলে ফোন কেটে দেয়।

পরে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে মেসেজ করে বলে 'ফোন জমা নিল। দোয়া করো। আব্বু আম্মুকে সান্ত্বনা দিও। আর কথা হবে না।’ এর পর থেকে ফোনে তাকে আর পাচ্ছি না।

জয়ের মা রোজিনা বেগম বলেন, ছেলে জয় তাকে ফোনে শুধু বলেছে 'মা আমার ফোনে এমবি থাকবে না, কথা নাও হতে পারে। আমার সঙ্গে হয়তো এক-দুই মাস কথা নাও হতে পারে। ঈদে শপিংসহ যা কেনা লাগে তোমরা কিনে নিও।’

বাবা জিয়াউর রহমান বলেন, আমার ছেলেসহ জিম্মি সব নাবিককে দ্রুত উদ্ধার করে দেশে ফেরত আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর