বুধবার, ২৩শে এপ্রিল ২০২৫, ১০ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • তিউনিসিয়ায় আটকে পড়েছেন ৩২ বাংলাদেশি
  • বিপ্লব ব্যাহত হতে পারে এনসিপির দায়িত্ব-জ্ঞানহীন কর্মকাণ্ডের কারণে
  • গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত
  • নারায়ণগঞ্জে জুটের গোডাউনে আগুন
  • ৮ মাসে সরকারের চমক, অনন্য উচ্চতায় দেশের অর্থনীতি
  • প্রেমিকাকে খুশি করতেই পারভেজকে হত্যা করে প্রেমিক
  • সংসদ ভবনে পালিয়ে ছিলেন শিরীন শারমিন-পলকসহ ১২ জন
  • হাসিনা কোথাও যান নি, তিনি আমাদের ভেতর বাস করছেন
  • ৩৬ দিনে কোন বিপ্লব বা অভ্যুত্থান হয় না

রমজানে গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
১৩ মার্চ ২০২৪, ১০:৪৬

পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে মিসরের বিখ্যাত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক সংস্থা আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ হিসেবে ২ হাজার টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী পাঠিয়েছে বাংলাদেশসহ ৯ দেশ।

এক বিবৃতিতে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি হাউস বলেছে, গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ত্রাণের যত চালান গেছে, সেসবের মধ্যে এই চালানটি বৃহত্তম। বাংলাদেশ ব্যতীত আরও যে আটটি দেশের ত্রাণ এই চালানে যুক্ত হয়েছে, দেশগুলো হলো— ইন্দোনেশিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি।

মিসরের অনলাইন সংবাদমাধ্যম আরহাম অনলাইনকে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটির মুখপাত্র আবদেল-আলীম কাশতা বলেছেন, ত্রাণ পণ্যবাহী ট্রাকগুলো মিসরের উত্তর সিনাই থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে গাজায় প্রবেশ করবে।

‘৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে রমজান শুরুর আগ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার টন ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা পণ্য পাঠিয়েছে আল আজহার জাকাত অ্যান্ড চ্যারিটি। সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।’

‘তবে এ পর্যন্ত সেখানে যত ত্রাণের বহর প্রবেশ করেছে, সেসবের মধ্যে এই বহরটি সবচেয়ে বড়। মোট ৮০টি দেশের অনুদানের ভিত্তিতে বহরটি সাজানো হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছে ৯টি দেশ—ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, কানাডা এবং জার্মানি,’ আরহাম অনলাইনকে বলেন আবদেল-আলীম কাশতা।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে সামরিক-বেসামরিক ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিকসহ ১ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় আরও ২৪০ জন ইসরাইলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে।

ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বিমান বাহিনী। এক সপ্তাহ পর বিমান বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও। সেই সঙ্গে জলপথেও হামলা চালানো হচ্ছে।

গত পাঁচ মাসের বেশি সময়ে ইসরাইলি হামলায় ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭২ হাজার। হতাহতদের একটি বড় অংশই নারী ও শিশু। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর