প্রকাশিত:
৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:২৮
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিমাসে প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) বাজার মনিটরিং করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের চতুর্থ অধিবেশনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছি, তারা যেন প্রতিমাসে এবং প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করে। যাতে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ডিসিরা তেমন কোনো কথা বলেননি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বিভিন্ন ধরনের কিছু ছোট ছোট পয়েন্ট যেমন মাদকদ্রব্য নিয়ে কথা বলেছেন। জেলখানায় কয়েদিদের আরও একটু ভালো টাইট দেওয়ার কথা বলেছেন। অচল বন্দিদের কীভাবে আরও একটু ছাড় দেওয়া যায় এবং ভার্চুয়াল কোর্ট যেটা কোভিডের সময় চালু করেছিলাম; সেটা বাংলাদেশের সব জায়গায় চালু করা যায় কি না।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যেসব কয়েদিকে আনা-নেওয়া রিক্স থাকে, তাদের ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যায় কি না সেটা নিয়ে বলেছেন তারা। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সারা দেশে চালু করা যায় কি না সেটা দেখব বলে জানিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সচিবরা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে জেলা পর্যায়ে যে কোর কমিটি রয়েছে। তারা যেন প্রতি মাসে একটি সভা করে। যাতে সবার সঙ্গে একটি সুসম্পর্ক থাকে এবং কোনো অসুবিধা হলে সেগুলো যেন দ্রুত সমাধান করতে পারেন।’
আপনার তরফ থেকে ডিসিদের কোনো নির্দেশনা ছিল কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বলেছি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের যে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। তারপরও কিছু ছোট ছোট মাদকদ্রব্য যা চোখে দেখা যায় না, বা দৃশ্যমান কোনো কিছু দিয়ে পরিবহণ করে না। যেমন ইয়াবা, এলএসডি মানুষ যদি না জানে এগুলো কীভাবে পরিবহণ করে তা বুঝতে পারবে না। এসব ড্রাগ ব্যবহাররোধে জেলা প্রশাসকদের আমি বলেছি, তারা সামাজিকভাবে ব্যবহার রোধ করে। আমরা মাদকের ব্যবহাররোধে যেমন তামাকের ও ধূমপানের বিরুদ্ধে কথা বলছি না।’
তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন কেউ প্রকাশ্যে ধূমপান করে না। ধূপমান করলে কেউ আড়ালে করে। আমরা সে জায়গাগুলোতে কাজ করার জন্য ডিসিদের বলেছি।
মন্তব্য করুন: