প্রকাশিত:
১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৭:৪৪
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের স ভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ সোমবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে সরকার এ ব্যাপারে কোনো ঔদাসীন্য দেখিয়েছে কি না? আমরা তো নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই যে (দ্রব্যমূল্য) বাড়ছে তো বাড়ছেই। আমাদের যা করণীয়, সেটা আমরা অবশ্যই করছি।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কিছু আবার কমছে। কমে যাওয়ার প্রবণতাও আবার আছে। বাজার চিরজীবনই ওঠানামা করে। আর চলমান বিশ্ব সংকটে প্রতিক্রিয়া আমাদের দেশেও হবে, এটাই স্বাভাবিক।’
সংবাদ সম্মেলনে ‘সিন্ডিকেট’ নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের এখন আর কিছু নেই। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের কর্মীরাও হতাশ। এখন কিছু না কিছু বলে তারা যে একটা বিরোধী দল, সেটা কর্মীদের কাছে, পাবলিকের কাছে জানান দেয়।’
মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশ নিজেদের মূল সীমান্ত রক্ষায় সদা জাগ্রত। আজকে মিয়ানমারের যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে। কাজেই আমরা এই বিষয়ে প্রস্তুত আছি।’
সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ভাঙনের পেছনে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার হাত রয়েছে বলে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি বিরোধী দল গঠন করেছে জাতীয় সংসদে। এর বাইরে জাতীয় পার্টির নামে কোনো একটা ভাগ সৃষ্টি করা, সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। জাতীয় সংসদের কেউ এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে নেই।
নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাদের কারাগারে রেখে সরকার তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করেছে, বিষয়টি লজ্জাজনক—দলটির নেতাদের এমন অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যাচার চিরজীবনই। এটা তাদের রাজনীতিতে অপরিহার্য বিষয়।’
জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটা সাধারণ নির্বাচন হয়েছে। এ নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা মুখর ছিল বহির্বিশ্বের একটা অংশ। তার পরও নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ করা ও গুরুত্বপূর্ণ একটা বক্তব্যে অংশীদার করা—এটা বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্ব কতটা সেই পরিচয় বহন করে।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেওয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক—রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কী না জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান নিয়ে কিছু বলব না। এখানে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত, অ্যাম্বাসির প্রতিক্রিয়া রয়েছে। জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক হবে, এটা আগে থেকে জানা ছিল। এ নিয়ে রুশ দূতাবাস বক্তব্য রেখেছে যে এটা আমাদের (বাংলাদেশ-রাশিয়া) সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
সংবাদ সম্মেলন শেষে ওবায়দুল কাদের ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন নিয়ে দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মন্তব্য করুন: