সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে
  • আবারও যাত্রাবাড়ী মোড় অবরোধ ব্যাটারি রিকশাচালকদের
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে

কম খরচের প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে তাগিদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৬:৪২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন—এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গ্রহণের পাশাপাশি যেগুলোয় কম অর্থের দরকার, সেগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য সব মন্ত্রণালয়কে তাগিদ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভার সভাপতিত্বকালে দেওয়া প্রারম্ভিক ভাষণে এই তাগিদ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্পগুলো গুরুত্বপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য, সেগুলো আমাদের নিতে হবে। প্রকল্প বাছাই করার সময় সে বিষয়টা আমাদের একটু দেখা দরকার, যাতে আমরা আমাদের লক্ষ্যটা অর্জন করতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেসব প্রকল্প অল্প খরচ করলেই দ্রুত শেষ হয়ে যাবে, সেগুলো সম্পন্ন করে ফেলা উচিত। তাহলে আমরা আবার নতুন প্রকল্প নিতে পারব। কিছু কিছু প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে আমার মনে হয়, সেগুলোও দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। কারণ, দ্রুত শেষ না করলে খরচ যেমন বাড়ে, তেমনি অহেতুক কালক্ষেপণ হয়। সেটা যেন আর না হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বৈশ্বিক কারণেই কিছু অর্থনৈতিক চাপ রয়েছে, তা ছাড়া আমরা খুব ভালোভাবেই এগোচ্ছিলাম। আমাদের প্রবৃদ্ধিও সেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। দেশের উন্নয়নটা ত্বরান্বিত হচ্ছিল। এ সময় কোভিড-১৯ অতিমারী আসায় বিশ্বব্যাপী সবকিছু স্থবির হয়ে পড়ল। এরপর যখন আমরা এটি মোকাবিলা করে এর থেকে উত্তরণ ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি, তখনই এল ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, স্যাংশন ও কাউন্টার স্যাংশন। এখন আবার গাজায় যেভাবে গণহত্যা চলছে, আক্রমণ চলছে, বিশ্বব্যাপীই একটি অশান্ত পরিবেশ, যার কারণে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি পণ্য পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। সময়ও বেশি লেগে যাচ্ছে। বহির্বিশ্বের নানা কারণে চাপটা আমাদের ওপরও এসে পড়েছে।’

দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে সার্বিক উৎপাদন বাড়ানোয় বিষয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এতে ভালো ফল পাওয়া যায়।

 

বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত জমিতে চাষাবাদের পাশাপাশি জলাভূমিতে মাছ চাষের ওপর গুরুত্ব দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তাঁর নিজের এলাকায় (টুঙ্গিপাড়া-কোটালিপাড়া) সমবায়ভিত্তিক চাষাবাদের ব্যবস্থা করেছেন। যাঁরা অনুপস্থিত মালিক, তাঁরা একটা অংশ পাবেন। কিন্তু তাঁদের অংশটা একটু কম হবে। যাঁরা শ্রম দেবেন, তাঁরা একটা অংশ পাবেন। আর সমবায়ের জন্য একটা অংশ থাকবে, যাতে খরচটা চালানো যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটা করে যাচ্ছি। আমি মনে করি, এটাতে সফল হতে পারলে, সারা বাংলাদেশে এটা চালু করে দিতে পারলে কোনো জমি আর অনাবাদি থাকবে না।’

শেখ হাসিনা বলেন, কিছু কিছু জিনিস বাইরে থেকে আনতেই হয়। তারপরও সার্বিক উৎপাদন বাড়ানো গেলে এর শুভফলটা জনগণ পাবে। অন্যের ওপর আর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবে না। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করায় এখন দেশের প্রয়োজনের ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এভাবেই ধীরে ধীরে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। তা ছাড়া মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের উৎপাদনও বেড়েছে। মানুষের এগুলো গ্রহণের হারও বেড়েছে, যারা আগে আমিষ খাবার কথা চিন্তা করত না, এখন তারাও নিচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাথে সাথে একেবারে গ্রামপর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নটা আমাদের দরকার। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে।’


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর