প্রকাশিত:
১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৫:১৭
বিয়ের পর বাসর রাতেই স্বামী জানতে পারলেন তার নববধূ অন্তঃসত্ত্বা। পরে সেই রাতেই স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে স্ত্রীকে তালাক দেন তিনি।
০৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে বিয়ে ও বিচ্ছেদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. সেলিম।
২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার রিফিউজি কলোনিতে এ ঘটনা ঘটে। জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর সকদিরামপুর গ্রামের কৈ বাড়িতে বিয়ে হয় মমিন ও স্মৃতির। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় গত দুদিন আগে।
ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, মেয়ের বাবা একজন দিনমজুর। তার চার মেয়ে। এই মেয়ে তৃতীয়। বড় দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। আরও একজন ছোট মেয়ে আছে। ওই মেয়ের পুরানবাজারে বিয়ে হয়েছে জানতে পেরেছি। এর পর মেয়ের বাবা আমাকে গত কয়েক দিন আগে বাজারে যাওয়ার পথে জানিয়েছেন তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তখন তিনি তার বাড়ির লিটন নামে এক যুবকের নাম বলেন। এসব বিষয়ে আমি চেয়ারম্যানকে অবগত করতে এবং আইনিব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিই।
এদিকে ঘটনার পর ওই নববধূ গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন সময়ে লিটন, ইলিয়াস মাস্টার, শিমুল ও এলাকার রনি নামে যুবকরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন। যে কারণে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
বর মমিনের মা গণমাধ্যমকে জানান, তার ছেলে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে। ছেলের বিয়ের আগে এমন কোনো তথ্যই তাদের জানা ছিল না। বিয়ের রাতে ছেলের বউয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে তারা বিস্মিত হয়ে পড়েন। পরে রাতেই তাকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বা নিশ্চিত হন। ওই রাতেই ছেলে তালাক দেয়। পর দিন ৩ ফেব্রুয়ারি শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আবারও পরীক্ষা করেন এবং সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে রিপোর্ট পান ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়ের পরিবার এসে তাকে ওই দিনই নিয়ে যায়।
মন্তব্য করুন: