প্রকাশিত:
২৫ জানুয়ারী ২০২৪, ১৩:৫৯
৯টি যানবাহন নিয়ে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়ার অষ্টম দিনে ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ২৪ জানুয়ারি বুধবার রাতে ফেরিটি উদ্ধার করে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের পাশে নদীর তীরে রাখা হয়।
নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন বলেন, ফেরিটি উদ্ধারে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। নদীতে প্রচণ্ড স্রোত, কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ডুবে যাওয়ার পর ফেরিটি উল্টে যায়। ফেরিটির ওপর নদীর তলদেশে পলিমাটি পড়ে আটকে থাকে। এতে ২৪০ টন ওজনের ফেরিটির ওজন ৩০০ টন ছাড়িয়ে যায়। উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তম দিয়ে ফেরিটিকে ওঠানো সম্ভব হয়নি। কারণ, উদ্ধারকারী জাহাজ দুটি ৮০ থেকে ৯০ টন ওজনের বস্তু ওঠানোর সক্ষমতা ছিল। ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএর সবচেয়ে শক্তিশালী উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় দুর্ঘটনাস্থলে আনা হয়। তবে এটির সক্ষমতা ২৫০ টন হওয়ায় ফেরিটিকে উদ্ধারে প্রত্যয়ও ব্যর্থ হয়। গত রোববার বিকেলে উদ্ধারকাজে যুক্ত হতে নারায়ণগঞ্জ থেকে অনুসন্ধানী জাহাজ ঝিনাই-১ ঘটনাস্থলে আসে।
বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত পরিচালক (নৌপথ) মো. আবদুস সালাম বলেন, ২৪ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে প্রত্যয়ের ক্রেনের সহায়তায় উল্টে থাকা ফেরিটিকে সোজা করা হয়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফেরিটি টেনে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের পাশে নদীর তীরে রাখা হয়।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ২৪ জানুয়ারি উদ্ধারকারী জাহাজ হামলা ও রুস্তম দিয়ে ডুবে যাওয়া মালবাহী দুটি যানবাহনের উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ডুবে যাওয়া ৯টি যানবাহনের মধ্যে সব কটি উদ্ধার করা হলো।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি রজনীগন্ধা ঘন কুয়াশার কারণে পদ্মা নদীতে নোঙর করে রাখা অবস্থায় ১৭ জানুয়ারি সকালে ডুবে যেতে থাকে।
মন্তব্য করুন: