শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে
  • নাম ও পোশাক বদলাচ্ছে র‌্যাব
  • গণহত্যা মামলায় ৮ পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ
  • আজারবাইজানের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

বড় পর্দায় আসবে ফিল্ম সিন্ডিকেটের পাঁচ সিনেমা

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত:
২১ জুন ২০২৩, ১৩:৩৭

তানিম নূর, সালেহ সোবহান, মীর মোকাররম হোসেন, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, রুমেল চৌধুরী ও সৈয়দ আহমেদ শাওকী। ফিল্ম সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য রেহমান সোবহান ছবিতে নেই

কাইজার, কারাগার, ঊনলৌকিক, তাকদীর-এর মতো সিরিজ করে অল্প সময়েই আলোচনায় আসে ফিল্ম সিন্ডিকেট। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি গত মার্চে সাত সিরিজ ও পাঁচ সিনেমার ঘোষণা দিয়েছিল। সিরিজগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ঊনলৌকিক ২’, ‘পেন্ডুলাম’, ‘গুলমোহর’, ‘ডেল্টা ২০৫১’, ‘দ্বৈত’, ‘অদানব’ ও ‘ফ্রেন্ডস উইদাউট বেনিফিটস’। সিনেমার মধ্যে রয়েছে ‘লোহানী’, ‘বাইপাস’, ‘খোঁয়ারি’, ‘পুলসিরাত’ ও ‘হেল ব্রোক লুজ’। কাজগুলোর সর্বসাম্প্রতিক অবস্থা জানতে আমরা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করি।

 

ফিল্ম সিন্ডিকেটের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মীর মোকাররম হোসেন ১৯ জুন সোমবার বিকেলে জানান, অন্তত ছয়টি সিনেমা ও সিরিজের চিত্রনাট্যের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। আগস্টে এগুলোর দৃশ্যধারণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে সিনেমা ও সিরিজ মুক্তি দেওয়া হবে। সিরিজগুলো স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দেওয়া হলেও পাঁচ সিনেমা মুক্তি পাবে প্রেক্ষাগৃহে।

 

২০২১ সালে চরকিতে ঊনলৌকিক মুক্তির পর দর্শকমহলে আলোচিত হয়েছিল, এবার ঊনলৌকিক ২ নির্মাণে হাত দিয়েছেন নির্মাতা রবিউল আলম।

 

 

রহস্য সিরিজ গুলমোহর ও ফিচার সিনেমা বাইপাস নির্মাণ করছেন ‘কারাগার’, ‘তাকদীর’–এর নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী। এপ্রিল থেকে ‘গুলমোহর’–এর চিত্রনাট্য লেখায় হাত দিয়েছেন শাওকী। একটি পরিবার ঘিরে আবর্তিত হবে সিরিজের গল্প। পিতার মৃত্যুর পর সম্পত্তির ভাগ–বাঁটোয়ারার মধ্যেই পরিবারটিকে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। দুই বছর আগে বাইপাস সিনেমার গল্প ভেবেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের গল্পকে ভিন্ন আঙ্গিকে ক্যামেরায় তুলে আনবেন শাওকী।

 

রহস্য থ্রিলার, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিনির্ভর সিরিজ ‘অদানব’ নির্মাণ করছেন ‘পুনর্জন্ম’ নির্মাতা ভিকি জাহেদ। ২০২১ সালের দিকে গল্পটি ভেবেছেন ভিকি, এখন চিত্রনাট্য লেখার কাজ চলছে। এলিয়েনের আক্রমণের আশঙ্কায় থাকা এক পরিবারের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিরিজটি।

 

ফিচার সিনেমা খোঁয়ারি ও পুলসিরাত নির্মাণ করছেন জাগো বাহের নির্মাতা সালেহ সোবহান। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে একজন লেখক ও নির্মাতার জীবনের গল্প নিয়ে খোঁয়ারির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুহান রিজওয়ান। এক বিয়েতে অনাহূত এক অতিথির আগমন ঘিরে ‘পুলসিরাত’ সিনেমার গল্প লিখেছেন আয়মান আসিব। দু–তিন মাসের মধ্যে দুই সিনেমার চিত্রনাট্য লেখা শেষ হবে।

 

 

ক্রাইম থ্রিলার সিনেমা লোহানী ও রহস্য সিরিজ ‘পেন্ডুলাম’ নিয়ে আসছেন ‘কাইজার’ নির্মাতা তানিম নূর। লোহানীর চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে, চিত্রনাট্য লিখছেন আয়মান আসিব। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে পেন্ডুলাম।

 

বাকি কাজগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। জলবায়ু–সংকটাপন্ন এলাকায় এক নারীর জীবনের চড়াই-উতরাইয়ের গল্প নিয়ে ডেল্টা ২০৫১ নির্মাণ করছেন কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়। চিত্রনাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর এবার নির্মাতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন কাইজার চিত্রনাট্যকার আয়মান আসিব ও ‘কাইজার’–এর প্রধান সহকারী পরিচালক সুস্ময় সরকার। দুই মানুষের জীবনের তিনটি গল্প নিয়ে সাজানো হচ্ছে থ্রিলার রহস্য সিরিজ দ্বৈতর চিত্রনাট্য।

 

আরও দুই নির্মাতার অভিষেক ঘটছে। ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় একটি খুনের ঘটনা ধরা পড়ার গল্প নিয়ে হেল ব্রোক লুজ নির্মাণ করছেন রাজীব রাফি। যুক্তরাজ্যে বসবাসরত এক ভারতীয় ও এক বাংলাদেশিকে নিয়ে কমেডি সিনেমা ফ্রেন্ডস উইদাউট বেনিফিটস নির্মাণ করছেন রিয়াদ আরফিন।

 

২০২০ সালে মীর মোকাররম হোসেনের উদ্যোগে চলচ্চিত্র নির্মাতা তানিম নূর, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সালেহ সোবহান, সৈয়দ আহমেদ শাওকী, রুমেল চৌধুরী, রেহমান সোবহানকে নিয়ে যাত্রা করে ফিল্ম সিন্ডিকেট।

 

মীর মোকাররম হোসেন জানান, প্রতিটি কনটেন্ট শেষ করতে মোটামুটি দেড় বছরের মতো লাগবে, সেই পরিকল্পনা করেই কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। সিনেমা ও সিরিজগুলোতে প্রাথমিকভাবে ফিল্ম সিন্ডিকেটই বিনিয়োগ করছে। পরে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম, ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করছেন তাঁরা।

 

সিনেমাগুলো হলে মুক্তির পর স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও টেলিভিশনেও প্রচার করা হবে। দেশের বাইরে মুক্তি ও বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

 

১২ সিরিজ ও সিনেমার ঘোষণার পর আরও কয়েকটি নতুন প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে ফিল্ম সিন্ডিকেট।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর