প্রকাশিত:
২২ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:৩২
নওগাঁর বদলগাছীতে আজ সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় টানা তিন দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
আজ সকাল ৬টায় নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় আজ জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ ঘোষণা দেন।
নওগাঁর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এটিই নওগাঁর সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুর রহমান বলেন, নওগাঁতে টানা তিন দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। গত দিনের চেয়ে আজকে একলাফে ১ দশমিক ৪ সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সাধারণত এক দিনের ব্যবধানে এতটা কমে না। আগামী দুই দিন নওগাঁতে শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তর থেকে আসা হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় নওগাঁয় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শীতের কারণে আজ স্কুলের পাঠদান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। আজ সকালে শহরের বিহারি কলোনি এলাকায় কথা হয় ভ্যানচালক জিয়ারুল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘একদিকে কনকনে বাতাস, আরেক দিকে ঘন কুয়া (কুয়াশা)। ঠান্ডাত হাত-পা জড়ো হয়ে যাছে। এমন ঠান্ডাত মনটা তো বলোছে ঘরোত শুয়ে থাকি। কিন্তু প্যাটত খিদা থাকলে কি আর বাড়িত আরামে থাকা যায়।’
এদিকে শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৬০ শিশু ভর্তি ছিল। গত কয়েক দিনে সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শয্যাসংকটের কারণে কোনো কোনো বেডে দুই শিশুকে রাখা হয়েছে। অনেক রোগীকে ওয়ার্ড ও করিডরের মেঝেতে জায়গা দিতে হয়েছে।
নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (শিশুবিশেষজ্ঞ) ফরিদ হোসেন বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শীত বাড়ায় শিশু ও বয়স্কদের ঘরের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি উদ্যোগে এ পর্যন্ত জেলায় ২০ হাজারের অধিক শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: