সোমবার, ২৫শে নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, যা বলছে আবহাওয়া অফিস
  • ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে
  • আবারও যাত্রাবাড়ী মোড় অবরোধ ব্যাটারি রিকশাচালকদের
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট

জাতি সংকট থেকে ওঠে এসেছে: সিইসি

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
১৮ জানুয়ারী ২০২৪, ১৭:৩১

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ায় একটি ‘সংকট এড়ানো গেছে’। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতি উদ্বেগ ও সংকট থেকে ওঠে এসেছে। তবে এটা স্থায়ী সমাধান নয়।

সিইসি মনে করেন, রাজনীতিবিদদের যদি আস্থা না থাকে, তাহলে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা থাকে না। নির্বাচন নিয়ে প্রতি পাঁচ বছর পর পর যদি সংকট সৃষ্টি হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নও বাধাগ্রস্ত হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সিইসি। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সবপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা যে ‘অনেকটা হ্রাস পেয়েছে’, সেই বাস্তবতা তুলে ধরে সংস্কারের আহ্বান জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃত্বেরও একটি পদ্ধতি অন্বেষণ করা প্রয়োজন হবে।

বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মুখে গত ৭ জানুয়ারি বিচ্ছিন্ন দুই-একটা ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এতে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জানিয়েছে, সেই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।

সিইসি বলেন, একটি বড় দল শুধু বর্জন করেনি, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। নির্বাচন উঠিয়ে আনায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে, আমরা স্বস্তিবোধ করছি।

তিনি বলেন, সরকারের সহায়তা ছাড়া এত বড় কর্মযজ্ঞ সফল করা সম্ভব হয় না। আমাদের অপবাদ, বদনাম দুটোই নিতে হবে। সেজন্য রাজনৈতিক নেতাদের একটি গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি খোঁজার তাগিদ দেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা সম্ভব হলে আগামীতে নির্বাচন আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, ঈমানের সঙ্গে কাজ করে সফল হয়েছি। যে স্ট্যান্ডার্ডে পৌঁছেছি, সেই স্ট্যান্ডার্ড থেকে নামতে পারবে না। আমরা দেখিয়ে দেব কিভাবে এই কমিশন কাজ করে, যা ভবিষ্যতের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।

আরেক কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা ভালো একটা নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। না করতে পারলে হয়ত আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতাম। আমাদের সরকার সহায়তা দিয়েছে। না হলে একসুরে একভাবে কাজ করা সম্ভব হতো না।

কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, দলগুলো যারা অংশগ্রহণ করেছে এবং সরকার- সবাই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আনসার থেকে শুরু করে সবাই সহায়তা করেছে। সরকার একটি বিরাট শক্তি, তাদের সহযোগিতা যদি না পেতাম, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারতাম না।

কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা দৃঢ় ছিলাম যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে না পারলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর