প্রকাশিত:
১৫ জানুয়ারী ২০২৪, ১৫:৩৬
বয়স বাড়লে পাল্লা দিয়ে বাড়ে হাঁটু আর কোমরের ব্যথা। গরমে একটু কম থাকলেও শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই ব্যথা বাড়তে থাকে। এক গবেষণায় দেখা যায়, দেশের ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষের মধ্যে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ১৮ শতাংশ নারী হাঁটু বা কোমরের ব্যথাজনিত সমস্যায় ভোগেন। যুক্তরাষ্ট্রের আর্থ্রাইটিস ফাউন্ডেশনের মতে, শীতকালে আমাদের অস্থিসন্ধিতে যে পিচ্ছিলকারক পদার্থ (সাইনোভিয়াল ফ্লুইড) থাকে, সেটা কিছুটা ঘন হয়ে যায় এবং জয়েন্টের নাড়াচাড়ায় বাধা সৃষ্টি করে, যে কারণে ব্যথা বাড়ে।
যেহেতু প্রকৃতি ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য এই ব্যথা বাড়ে, তাই শীত এলে ব্যথা–বেদনার রোগীদের একটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্যথা থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়।
১. সকালে উঠে কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। শীতের দিনে ঘরের মধ্যে হাঁটলে ভালো হয়, তাতে ঠান্ডা লাগা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এই ব্যায়ামে রক্ত চলাচল বাড়ে, বিপাক বাড়ে, ফলে ব্যথা কমে।
২. ব্যথার জায়গায় একটু কুসুম গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। এ সময় একটা হটওয়াটার ব্যাগ থাকলে ভালো। গোড়ালির ক্ষেত্রে কুসুম গরম পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পা ভেজানো যেতে পারে।
৩. অফিসে টানা বসে না থেকে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পরপর একটু স্ট্রেচিং করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৪. খাদ্যতালিকায় প্রচুর সবজি রাখুন। যেমন ফুলকপি, ব্রকলি, গাজর, পাকা ও কাঁচা পেঁপে, টমেটো, শিম, বরবটি ইত্যাদি।
৫. অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, একটু ব্যথা হলেই ওষুধ খাওয়া শুরু করে দেন, এটা সাময়িকভাবে ব্যথা কমালেও কিডনির বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ একদমই নয়।
৬. যাঁদের বাতের সমস্যা, তাঁদের ইউরিক অ্যাসিড লেভেল কেমন আছে, স্বাভাবিক আছে কি না বা বাড়লেও কতখানি বেড়েছে এবং তার জন্য কী ওষুধ সেবন করতে হবে, সেটাও শীতের শুরুতে ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিলে ভালো হয়। ইউরিক অ্যাসিড আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি, যেমন আচার, চানাচুর, নোনা মাছ, পালংশাক, পুঁইশাক, মসুর ডাল, বিউলির ডাল, গরুর মাংস, খাসির মাংস, সামুদ্রিক খাবার ইত্যাদি।
৭. ভিটামিন ডি-এর সবচেয়ে ভালো উৎস মৃদু সূর্যের আলো। অস্থিসন্ধির ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডি-এর গুরুত্ব যেহেতু অনেক, সে জন্য সূর্যের আলোয় খেলার মাঠে, পার্কে, খোলা ছাদে বা বারান্দায় কিছুটা সময় দেওয়া উচিত।
মন্তব্য করুন: