প্রকাশিত:
১০ জানুয়ারী ২০২৪, ১১:৩২
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আজ বুধবার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। বেলা ১১টায় শুনানি হওয়ার কথা।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
গত ৩ জানুয়ারি রুলের ওপর শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল কিন্তু ওইদিন চলতি সপ্তাহে (নট দিস উইক) নয় বলে মুলতবি করা হয়। ওইদিন ফখরুলের জামিন আবেদন দায়েরকারী আইনজীবীর পক্ষে এক আইনজীবীর সময়ের আর্জির পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট একই বেঞ্চ শুনানি মুলতবি করেন।
মামলাটিতে গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মির্জা ফখরুলের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
রুল শুনানির দিন ধার্যের জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর আদালতে আর্জি জানান মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুল শুনানির জন্য ৩ জানুয়ারি ধার্য করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি কার্যতালিকায় ওঠে।
আবেদনকারীর পক্ষে একজন আইনজীবী বলেন, ‘প্রে ফর নট দিস উইক, পারসোনাল ডিফিকাল্টিজ’ (চলতি সপ্তাহে না করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি, ব্যক্তিগত অসুবিধার জন্য)।
তখন আদালত এই আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বলেন, কার পক্ষে বলছেন? তখন এই আইনজীবী বলেন, আইনজীবী সগীর হোসেনের পক্ষে।
আদালত বলেন, জামিন আবেদন দায়েরকারী আইনজীবী কে? তখন এই আইনজীবী বলেন, সগীর হোসেন।
এ সময় আদালত বলেন, ‘তখন এত আর্জেন্সি (তাড়া) দেখালেন, এখন নেই কেন?’ তখন এই আইনজীবী বলেন, ‘পারসোনাল ডিফিকাল্টিস’ (ব্যক্তিগত অসুবিধা)।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বি এম আবদুর রাফেল হলফনামা (রুলের জবাব সংক্রান্ত) দাখিল করেন। পরে আদালত চলতি সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন।
গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। গ্রেফতারের পর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। তাকে গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। ওইদিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। এরপর থেকে দফায় দফায় অবরোধ ও হরতাল পালন করে আসছে বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা।
মন্তব্য করুন: