প্রকাশিত:
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:০২
লক্ষ্মীপুরে দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে ১০ নেতাকে এবং ১৯ ডিসেম্বর অপর ১ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
২৬ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১১ জনকে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতাদের ভাষ্য, লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ সাত্তারের (ট্রাক প্রতীক) পক্ষে কাজ করায় তাঁদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, যা বিধিসম্মত হয়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ওই ১১ নেতা দলের কার্যক্রমে পরপর অনুপস্থিত থেকে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত আছেন। এ কারণে গঠনতন্ত্রের ৪৭–এর ১১ ধারা মোতাবেক তাঁদের দলীয় পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের কোনো কমিটির পদে প্রার্থী হতে পারবেন না।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা হলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অহিদুজ্জামান বেগ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন পাটওয়ারী, কোষাধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ পাটওয়ারী, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক নাছির পাটওয়ারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, সদস্য সামছুল আলম বাবুল পাটওয়ারী, নুরুল আমিন, সোহরাব হোসেন পাটওয়ারী, লোকমান হোসেন, মো. খালেদ ও মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতা মোশাররফ হোসেন পাটওয়ারী বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীকে খুশি রাখতে ও নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাতে অগঠনতান্ত্রিকভাবে আমাদের অব্যাহতি দেওয়ার চিঠি দিয়েছে। অব্যাহতি দিতে হলে জেলা কমিটি কেন্দ্রে সুপারিশ করবে। কেন্দ্র আমাদের অব্যাহতি দিতে পারবে। থানা আওয়ামী লীগের দুই নেতা কোনোভাবেই আমাদের অব্যাহতি দিতে পারবেন না।’
অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতা ও মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পাটওয়ারী ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগির আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানা কমিটির কোনো নেতাকে আপানারা থানা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হয়ে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না। আপনারা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বিএনপি-জামায়াতের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভোটারশূন্য নির্বাচন করার জন্য দলের পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের সম্মানহানি করছেন।’
তবে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওহাব বলেন, দলের কার্যক্রমে অনুপস্থিত, গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও অনৈতিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকায় জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় ১১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক নৌকার প্রার্থী। তাঁর সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ সাত্তার। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
মন্তব্য করুন: