মঙ্গলবার, ৮ই অক্টোবর ২০২৪, ২৩শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সেপ্টেম্বরে সড়কে প্রাণ গেল ৪২৬ জনের
  • পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি: সিপিডি
  • অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা
  • ব্যাংক নোটে নতুন নকশা, বাদ যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ছবি
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণ অনিবার্য, বললেন সি

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৪:২৩

চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ‘পুনরেকত্রীকরণ অনিবার্য’ বলে আবারও মন্তব্য করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানে আগামী মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার দেওয়া এক ভাষণে চীনা প্রেসিডেন্ট এ মন্তব্য করেন। 


চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে–তুংয়ের ১৩০তম জন্মদিন উপলক্ষে ওই ভাষণ দেন সি। তিনি বলেন, ‘মাতৃভূমির সঙ্গে পুনরেকত্রীকরণের প্রক্রিয়া শেষ করাটা উন্নয়নের অনিবার্য শর্ত। এটি ন্যায়নিষ্ঠ প্রক্রিয়া, যা জনগণ চায়। মাতৃভূমি অবশ্যই এবং আবারও একত্র হবে।’
তাইওয়ানের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনকে যুক্তরাষ্ট্রঘেঁষা বলে মনে করা হয়। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে ডেমোক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি থেকে এবার ভাইস প্রেসিডেন্ট লাই চিং তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন পর্যন্ত তিনি এগিয়ে আছেন।
নির্বাচনী লড়াইয়ে অপর দুই প্রার্থী হলেন হো ইয়ু ইহ এবং কো ওয়েন জে। কুয়োমিনতাং পার্টির ইয়ু ইহ এবং তাইওয়ান পিপলস পার্টির কো ওয়েন জেকে বেইজিংঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ড বলে দাবি করে থাকে। যদিও এ অঞ্চলে কখনো তাদের নিয়ন্ত্রণ ছিল না। চীনা কর্মকর্তারা বারবারই শান্তিপূর্ণভাবে তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছেন। তবে প্রয়োজনে জোর খাটানোর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।
গতকালের ভাষণে সি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আন্তপ্রণালি সম্পর্ককে শান্তিপূর্ণভাবে উন্নত করার জন্য কাজ করতে হবে। যেকোনোভাবেই হোক, চীন থেকে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করতে চাওয়া যে কাউকেই প্রতিরোধ করতে হবে।’
সি এই সতর্কবাণী শুধু তাইওয়ানবাসীর জন্যই নয়, ওয়াশিটংনের জন্যও দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মাসে সান ফ্রান্সিসকোতে সম্মেলন চলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে চীনা প্রেসিডেন্ট সি বলেছিলেন, চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের পুনরেকত্রীকরণকে থামানো যাবে না। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানানো হয়েছিল।
২০২২ সালের আগস্টে তৎকালীন মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেন। এরপর তাইওয়ান ঘিরে কয়েক দিন ধরে সামরিক মহড়া চালাতে থাকে চীন। চীনের ওই মহড়ার কারণে তাইওয়ান প্রণালিতে জাহাজ চলাচল যেমন বন্ধ ছিল, তেমনি তাইওয়ানে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনসগুলো তাদের ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়। এভাবে রীতিমতো তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল চীন।
যুক্তরাষ্ট্র অনানুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। আবার তারা ‘এক চীন নীতি’র সমর্থক।
এ নীতি অনুযায়ী তাইওয়ান চীনের অংশ। তবে ওয়াশিংটন কখনোই আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে বেইজিংয়ের অংশ হিসেবে স্বীকার করেনি।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর