প্রকাশিত:
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:০৭
ঢাকা জেলা ও মহানগরের ১৯টি আসনের মধ্যে ১৪টিতেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা চিন্তামুক্ত। এই আসনগুলোতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় জয়ের ব্যাপারে অনেকটাই ‘নির্ভার’ নৌকার প্রার্থীরা। ঢাকার বাকি ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার এখনো সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, এই পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
যদিও ঢাকার ১৩টি আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন, কিন্তু রাজধানীর বেশির ভাগ আসনে দলটির প্রার্থীদের তেমন তৎপরতা নেই। একটি আসন ঢাকা-১৮ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এই আসনসহ তিন–চারটি আসনে দলটির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীদের সক্রিয় তৎপরতা আছে।
লাঙ্গল প্রতীকের বাইরে আম, ডাব ও টেলিভিশনের মতো প্রতীকেও অনেক প্রার্থী রয়েছেন। এসব প্রতীকের অনেক প্রার্থী থাকলেও তাঁদের নিজেদের অবস্থান ও দলগুলোর তেমন সাংগঠনিক ভিত্তি নেই। ফলে ঢাকার বেশির ভাগ আসনে নৌকা প্রতীকের বিপরীতে আম, ডাব ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসার মতো অবস্থানে নেই। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে লোকজনের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা জেলা ও মহানগরে ২০টি আসনে মোট প্রার্থী ১৫৬ জন। ঢাকার আসনগুলোতে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৩ জন করে প্রার্থী রয়েছেন। ঢাকার যে ১৯টি আসনে নৌকার প্রার্থী আছেন, এর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬টি আসনে প্রার্থী আছেন ‘আম’ প্রতীকের ন্যাশনাল পিপলস পার্টির। জাতীয় পার্টির (জাপা) লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আছেন ১৩টি আসনে। এরপর তৃণমূল বিএনপির সোনালী আঁশ প্রতীকের ১১টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের ছড়ি প্রতীকের ১১টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) টেলিভিশন প্রতীকে ১০টি, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ডাব প্রতীকের প্রার্থী আছেন ৬টি আসনে।
ঢাকার বাকি ৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার এখনো সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, এই পাঁচটিতে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
অন্য প্রার্থীদের দেখা নেই
১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটের প্রচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। সাত দিন চলে গেলেও ঢাকার অধিকাংশ আসনে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার প্রচার ছাড়া অন্যদের ব্যানার-পোস্টার, মাইকিং ও গণসংযোগ চোখে পড়ে না। ২২ ডিসেম্বর শনিবার ঢাকা ৬, ৮, ১০ ও ১৩ আসন ঘুরে দেখা যায়, মাঠে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দলের প্রার্থীর প্রচার নেই বললেই চলে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ আসন। এই আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এই আসনে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই। তবে আম, মিনার, মোমবাতি, ছড়ি, একতারা, লাঙ্গল, সোনালী আঁশ, ফুলের মালা, টেলিভিশন প্রতীকের আরও নয়জন প্রার্থী রয়েছেন।
২৪ ডিসেম্বরএই আসনের শাহবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, মালিবাগ ও মগবাজার এলাকা ঘুরে এসব প্রতীকের পোস্টার, ব্যানার চোখে পড়েনি। কেবল মালিবাগে সোনালী আঁশের কিছু পোস্টার দেখা গেছে। বিক্ষিপ্তভাবে ছড়ি প্রতীকেরও অল্প কিছু পোস্টার দেখা গেছে। স্থানীয় লোকজনের কাছে এসব প্রতীক বা দল কোনোটাই পরিচিত নয়। তবে পুরো নির্বাচনী এলাকা ছেয়ে গেছে নৌকা প্রতীকের পোস্টারে।
যদিও ঢাকার ১৩টি আসনে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছেন, কিন্তু রাজধানীর বেশির ভাগ আসনে দলটির প্রার্থীদের তেমন তৎপরতা নেই।
নতুন নিবন্ধিত দল তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন ঢাকার ১১টি আসনে। তবে প্রার্থীদের প্রচার খুব বেশি চোখে পড়ে না। এই বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সালাম মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমবেশি তৃণমূলের প্রার্থীরা মাঠে আছেন। প্রচারে তো অর্থনৈতিক কিছু বিষয়ও থাকে। ঢাকা-৬, ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীরা ভালোই পোস্টার লাগিয়েছেন।’
ধানমন্ডি, কলাবাগান, নিউমার্কেট এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। এ আসনে সবচেয়ে কম পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। নৌকার বিপক্ষে ভোটে আছেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাপার মো. শাহজাহান। এ ছাড়া আম, ছড়ি ও টেলিভিশন প্রতীকে প্রার্থী রয়েছেন।
ঢাকা-১০ আসনে নৌকার বাইরে একমাত্র ছড়ি প্রতীকের শাহরিয়ার ইফতেখারের কিছু পোস্টার দেখা গেছে। ঢাকা-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীরা ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), গণফ্রন্ট, মুক্তিজোট, তৃণমূল বিএনপি ও ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী। কোতোয়ালি ও সূত্রাপুর থানা নিয়ে গঠিত এ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থীর কিছু পোস্টার ছাড়া অন্য প্রার্থীদের কোনো অস্তিত্ব চোখে পড়েনি।
ঢাকার অধিকাংশ আসনে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকার প্রচার ছাড়া অন্যদের ব্যানার-পোস্টার, মাইকিং ও গণসংযোগ চোখে পড়ে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘নৌকা ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর পোস্টার তো চোখেই পড়ে না। আমরা দল হিসেবে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী না। প্রার্থীরা নিজেদের মতো কিছু করার চেষ্টা করছেন। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’
ঢাকা-১৩ আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হননি। বাকি পাঁচ প্রার্থীর সবাই নামসর্বস্ব দলের।
ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৩ নসরুল হামিদ, ঢাকা-৭ সোলায়মান সেলিম, ঢাকা-৯ সাবের হোসেন চৌধুরী, ঢাকা-১১ ওয়াকিল উদ্দিন, ঢাকা-১২ আসাদুজ্জামান খান, ঢাকা-১৫ কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা-১৬ ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ এবং ঢাকা-১৭-তে মোহাম্মদ আলী আরাফাতের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলার মতো শক্ত প্রার্থী নেই।
দোহার ও নবাবগঞ্জ নিয়ে গঠিত ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এই আসনে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
কমবেশি তৃণমূলের প্রার্থীরা মাঠে আছেন। প্রচারে তো অর্থনৈতিক কিছু বিষয়ও থাকে। ঢাকা-৬, ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থীরা ভালোই পোস্টার লাগিয়েছেন।
তৃণমূল বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সালাম মাহমুদ
প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা ৫ আসনে
ঢাকা-৪ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এই আসনে লড়ছেন গত দুইবারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। শ্যামপুর-কদমতলী এলাকার এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব আওলাদ হোসেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিন হাজারের কম ভোটের ব্যবধানে আবু হোসেনের কাছে হেরেছিলেন। ফলে নৌকা-লাঙ্গলের লড়াই জমিয়ে দিতে পারেন ট্রাক প্রতীকে লড়া আওলাদ হোসেন।
ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ (মুন্না)। ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকার এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। ঢাকা দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান (ঈগল) এবং ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা (ট্রাক) প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। মশিউরের বাবা হাবিবুর রহমান মোল্লা এই আসনের চারবারের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি সাবিনা আক্তার তুহিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা–১৪ আসনে। ওই নির্বাচনী এলাকায় তাঁর প্রচারণা চোখে পড়ে। সাবিনা আক্তার দাবি করেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের একাংশ ও যুব মহিলা লীগ তাঁর সঙ্গে আছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণাও চোখে পড়ার মতো।
ঢাকা-৪ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য সানজিদা খানম। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এই আসনে লড়ছেন গত দুইবারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। শ্যামপুর-কদমতলী এলাকার এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব আওলাদ হোসেন।
ঢাকা-১৯ আসনে গত দুইবারের সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। নির্বাচনে তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন নৌকার টিকিট না পাওয়া তালুকদার মোহাম্মদ তৌহিদ জং (মুরাদ)। সাবেক সংসদ সদস্য তৌহিদ জং এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী। সাভারের এই নির্বাচনী এলাকায় আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
এনামুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে জড়িত তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, এনামুর রহমান ৩০-৪০ বছর ধরে সাভারবাসীকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ঝুট ব্যবসা, জায়গা দখল এমন কোনো প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ডে কখনোই তাঁর মদদের অভিযোগ ওঠেনি। দলমতনির্বিশেষে ভোটাররা তাঁর পক্ষে থাকবেন বলে তাঁরা মনে করছেন।
ঢাকার বেশির ভাগ আসনের ভোটকে অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
অন্যদিকে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও তৌহিদ জংয়ের সাভার পৌরসভার ৭৩টি কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবদুল হালিম বলেন, গত ১০ বছরে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের একজন কর্মীও তৈরি করতে পারেননি। উল্টো দলের পরীক্ষিত কর্মীরা যাঁদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন, তাঁদের দলীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলে এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। সব দিক বিবেচনায় তৌহিদ জংয়ের জন্য দলের নেতা-কর্মীরা কাজ করছেন।
ঢাকা-২০ (ধামরাই) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদ। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক ও অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় লোকজন।
বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের ভোট বর্জনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক দেখাতে দলীয় নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে উৎসাহিত করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ঢাকার অধিকাংশ আসনেই আম-ডাবের প্রার্থী ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোনো প্রার্থী নেই নৌকা প্রতীকের বিপরীতে। ঢাকার বেশির ভাগ আসনের ভোটকে অনেকটা আনুষ্ঠানিকতা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
মন্তব্য করুন: