প্রকাশিত:
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪১
‘ভোট বর্জন’ ও বর্তমান সরকারকে ‘অসহযোগিতার’ আহ্বান জানিয়ে তিন দিন প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগের পর আজ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ বিএনপির।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনকে ‘ডামি দল’ ও ‘ডামি প্রার্থীর’ নির্বাচন বলে দাবি করছে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল ও জোট। তারা একযোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশের অভিযানে পণ্ড হওয়ার পর ২৯ অক্টোবর থেকে দলটি চার দফা হরতাল ও ১২ দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে দলটি। আজ রোববার ১৩তম দফায় সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের কর্মসূচি রয়েছে। এরপর আবার নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে বিএনপির সূত্রগুলো জানিয়েছে।
২১ ডিসেম্বর থেকে বিএনপিসহ আন্দোলনে থাকা দলগুলো সরকারের একতরফা ভোট বর্জন ও বর্তমান সরকারকে অসহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে সারা দেশে প্রচারপত্র বিতরণ করে। গতকাল শনিবার শেষ দিনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকায় প্রচারপত্র বিতরণ করেন।
২৩ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভোট বর্জনের আহ্বানসংবলিত প্রচারপত্র বিতরণের সময় আবদুল মঈন খান বলেছেন, সরকার দাবি করে, তারা উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। যদি এতই উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়ে থাকে, তাহলে জনগণের ভোটকে এই সরকার কেন ভয় পায়—এই প্রশ্ন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা জনগণের মৌলিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছি, আমরা জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছি। এই লক্ষ্যে আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব...যত দিন এই স্বৈরাচারী সরকার বিদায় না হবে, তত দিন আমরা রাজপথে থাকব।’
২৩ ডিসেম্বর সকালে রামপুরা ও শাহজাহানপুর কাঁচাবাজারে ভোট বর্জনের প্রচারপত্র বিতরণের সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, সরকার সম্পূর্ণ গায়ের জোরে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধী দল ছাড়াই নিজেরা ডামি প্রার্থী সাজিয়ে একটা তামাশার নির্বাচন করছে। ক্ষমতা ধরে রাখতে প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতা নিয়ে জনমতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে।
২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ সারা দেশে তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১২০ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: