প্রকাশিত:
২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৪৭
রাজধানীতে যাত্রীবাহী ট্রেনে অগ্নিসংযোগে চার ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে।
অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলাটি করা হয়। ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস আজ বুধবার এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক খালেদ মোশারফ।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, ‘ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অগ্নিসংযোগে জড়িত কাউকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি।’
নেত্রকোনা থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল গত সোমবার রাত ১১টার দিকে। ১৯ ডিসেম্বর ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় ট্রেনটিতে আগুন দেওয়া হয়। আগুন দেওয়ার পর ট্রেনটি থামে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এসে ঢাকার তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায়। আগুনে ট্রেনের তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন নাদিরা আক্তার (৩২) ও তাঁর ৩ বছরের ছেলে ইয়াছিন রহমান। অন্য দুজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
শনাক্ত না হওয়া লাশ দুটির একটি রশিদ ঢালী (৬০) ও অন্যটি খোকন মিয়ার (৩৫) বলে দাবি করেছেন স্বজনেরা।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে হরতাল-অবরোধের মধ্যে ১৯ ডিসেম্বর ঘটনা নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চারটি ট্রেনে আগুন দেওয়া এবং রেললাইন কেটে ফেলার একটি ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় মোট পাঁচজন মারা গেছেন। রেললাইনে আরও ১৯টি অগ্নিসংযোগ এবং ৮টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
মন্তব্য করুন: