প্রকাশিত:
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:১০
খোলাখুলি কথা বলুন
সম্পর্ক চাঙা রাখতে সবার আগে প্রয়োজন সঙ্গীর সঙ্গে সরাসরি ও খোলাখুলি কথা বলা। অতিরিক্ত মুঠোফোনপ্রীতি যে আপনাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে, সে ব্যাপারে তাঁকে জানান। মনে রাখবেন, এক দিনে এই অভ্যাস বদলে ফেলা সম্ভব নয়। আস্তে আস্তে নতুন অভ্যাসের সঙ্গে পরিচিত করান। মুঠোফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে একসঙ্গে ‘কোয়ালিটি’ সময় কাটান। দুজন মিলে ডুব দিন কোনো সৃজনশীল কাজে।
সঙ্গীর কথা শুনুন
সব সময় যে সঙ্গীর মুঠোফোনপ্রীতিই সম্পর্কে ছেদ ফেলছে, ব্যাপারটা তেমন না–ও হতে পারে। এমনটা হতে পারে সঙ্গীর কথায় মনোযোগ না দেওয়া থেকেও। তাঁর কথায় মনোযোগ না দেওয়া থেকেই তাঁর মনে জন্ম নিয়েছে মুঠোফোনপ্রীতি। তাই সঙ্গীর প্রতিটি কথায় মনোযোগ দিন। তাঁকে শুনুন, বুঝুন। তাঁর মতামত, পছন্দ-অপছন্দকে গুরুত্ব দিন। প্রয়োজনে বেড়াতে যান, নিদেনপক্ষে দুজন মিলে হাঁটতে বের হোন।
স্ক্রিন টাইম কমান
দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনুন। রাতের একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভার্চ্যুয়াল দুনিয়ায় নিজেরা সময় দেবেন। ঠিক করুন, রাত আটটার পর আর মুঠোফোন, টিভি, কম্পিউটার নয়। সেই সময়টা নিজেদের আর পরিবারকে দিন। বই পড়ুন। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ডায়েরিতে টুকে রাখতে পারেন কয়েকটি বাক্য। সেটা হতে পারে দিনের সবচেয়ে ইতিবাচক কোনো ঘটনা বা আগামীকালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
নিজেই হোন আদর্শ
সঙ্গীকে ‘তুমি তো সারাক্ষণ ফোনের ভেতরেই পড়ে থাকো’ বলে নিজে ফোনের জগতে ডুবে থাকলে কিন্তু হবে না। বরং নিজেকে আদর্শ সঙ্গী হিসেবে গড়ে তুলুন, মুঠোফোন সরিয়ে রেখে সঙ্গীর প্রতি মনোযোগ দিন। এতে করে সঙ্গীও বুঝতে পারবেন, ফোনের দুনিয়ার বাইরেও আপনি তাঁর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চান।
সারা দিনের ব্যস্ততা ও মুঠোফোনপ্রীতিকে সরিয়ে রেখে নিজেদের মধ্যে যেটুকু সময় পান, সেটুকু উপভোগ করুন
একে অপরকে ‘কোয়ালিটি’ সঙ্গ দিন
কতক্ষণ সময় কাটাচ্ছেন, সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে কীভাবে সময়টা কাটাচ্ছেন, সেদিকে মনোযোগ দিন। সারা দিনের ব্যস্ততা ও মুঠোফোনপ্রীতিকে সরিয়ে রেখে নিজেদের মধ্যে যেটুকু সময় পান, সেটুকু উপভোগ করুন। চেষ্টা করুন আনন্দময় কিছু করার। সেটা হতে পারে সিনেমা দেখা, গল্প করা, সারা দিনের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করে নেওয়া। বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া কিংবা খাওয়াদাওয়া করা।
একসঙ্গে কাজ করুন
সময় কাটানোর জন্য এমন কোনো কাজ বা শখ খুঁজে নিতে পারেন, যাতে আপনাদের দুজনেরই আগ্রহ রয়েছে। এতে করে সারা দিনের ফাঁকে যেটুকু সময় পাবেন, সেটুকু সময়ই একত্রে কোনো কাজ করার পেছনে ব্যয় করুন।
বুঝতে চেষ্টা করুন
কাজের খাতিরে অনেককেই নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও স্ক্রিনের দিকে বাড়তি নজর রাখতে হয়। ব্যাপারটি সঙ্গীর ক্ষেত্রেও সত্যি হতে পারে। অফিসের জরুরি কোনো কাজ কিংবা মেইলের রিপ্লাই দেওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে বেশ অনেকটা সময় কাটাতে হতে পারে স্ক্রিনের ভেতরে। শুধু তা–ই নয়, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করতে হয়। তাই সঙ্গীর প্রয়োজন বুঝে তাঁর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন।
মন্তব্য করুন: