প্রকাশিত:
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭:২০
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তবে তিনি এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ালেন। নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ রবিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এই কথা জানান।
হিরো আলম বলেন, ‘কোনো চাপের কারণে নির্বাচনের মাঠে থাকছি এমনটা নয়। কারণ হিরো আলমের কোনো উপদেষ্টা নেই, কারো কথা শুনে হিরো আলম নির্বাচন করেনি, অতীতেও হিরো আলম নির্বাচনে মাঠে একা ছিল, এখনো একা আছে। কারো কানকথায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার ঘোষণা করিনি। আমার মনে হয়েছে এই নির্বাচন করে কোনো লাভ হবে না।
সরকার যে ৩০০ আসনের নির্বাচন করছে তার মধ্যে দলীয় প্রার্থীও দিয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীও দিয়েছে। তাহলে আমরা আমজনতা যারা নির্বাচন করছি তাদের কিন্তু কোনো আসনই নাই। সব কিছু মিলিয়ে মনে হয়েছে, আমি নির্বাচন করব না। এটা পাতানো নির্বাচন।
এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’
হিরো আলম আরো বলেন, ‘কিন্তু এই নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে গেলে কথা উঠছে, হিরো আলম নাকি লাখ লাখ টাকা নিয়ে মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। আমার এলাকার মানুষজন জানতে চাচ্ছে, আমি টাকা নিয়ে কেন নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি। এই কথার কারণে আমি আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠে থাকছি। আমি নির্বাচন করব।
তবে আমি জিতব না এটাও কিন্তু আমি জানি। কারণ গতবারও আমি জিতেছিলাম। জেতার পর আমাকে তারা আসন বুঝিয়ে দেয়নি। এবারও দেবে না। কারণ হিরো আলমকে তারা মেনে নিতে পারে না। সমাজের এক শ্রেণির লোক আছে, তারাই সারা জীবন রাজত্ব করবে।’
এর আগে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি। প্রত্যাহারের কারণ জানাতেই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচনে থাকবেন বলেই জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন হিরো আলম। গত ৩ ডিসেম্বর বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম চারটি ভুলের কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন। পরে ৬ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ মোট চারবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (উপনির্বাচনসহ) প্রার্থী হয়েছেন হিরো আলম। মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের সময় চারবারই তার প্রার্থিতা বাতিল হয়। পরে দুইবার নির্বাচন কমিশন ও দুইবার হাইকোর্টে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান তিনি। এ বছরের শুরুতে বগুড়া-৪ আসনে মাত্র ৮৩৪ ভোটে আওয়ামী লীগের শরিক জাসদের প্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি।
মন্তব্য করুন: