প্রকাশিত:
১৮ জুন ২০২৩, ১১:৫৩
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে এবং ভোট প্রদানের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করার জন্য প্রতিপক্ষ প্রার্থী সন্ত্রাসীদের জড়ো করছেন বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির মেয়র পদপ্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম (বাবুল)। ১৭জুন শনিবার বিকেলে তিনি সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদেরের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন।
সিলেটের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অভিযোগপত্রে নজরুল ইসলাম প্রতিপক্ষের বিষয়টি উল্লেখ করলেও কোনো মেয়র পদপ্রার্থীর নাম সরাসরি জানাননি।
সিলেটে ভোট হবে আগামী বুধবার। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম এবং স্বতন্ত্র মো. আবদুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন, মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় সিলেটের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান।
জাপার প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ভোট প্রদানের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী কিছু ভাড়াটিয়া গুন্ডা ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে সিলেট এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্রাবাসগুলোয় জড়ো করছেন।’
লিখিত অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ‘আমার আশঙ্কা নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার জন্য প্রতিপক্ষ এ ধরনের সন্ত্রাসী বাহিনী আনছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার জন্য ছাত্রাবাসগুলো ২০ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখা প্রয়োজন।’
এ অভিযোগপত্রের অনুলিপি তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সিলেট মহানগরের পুলিশ কমিশনার, সিলেটের পুলিশ সুপার এবং সিলেট এমসি কলেজ ও সিলেট সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের কাছেও দিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সিলেটে ভোট হবে ইভিএমে। সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এখানে মেয়র পদে ৮ জন, সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য করুন: