মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল ২০২৫, ৯ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • আদালতে কামরুল-দীপু মনি-পলকদের ওপর ডিম নিক্ষেপ
  • বাংলাদেশি নই বলা টিউলিপ বাংলাদেশের এনআইডি-পাসপোর্টধারী
  • প্লাস্টিক দূষণে বছরে ১ লাখ সামুদ্রিক প্রাণীর মৃত্যু
  • ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী চীন
  • সৌদিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসার জন্য ৫০ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানা, ৬ মাসের জেল
  • ময়মনসিংহ মেডিকেলে নারীসহ ১৪ দালাল আটক
  • ফের গাজাবাসীকে সমর্থন, যা বললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
  • চরম দরিদ্র ও গরিবের শ্রেণিবিভাজন
  • বিশ্ব ধরিত্রী দিবস আজ
  • ভারতীয় নারীদের মার্শাল আর্টে ফিরিয়ে আনছেন ‘মীনাক্ষী আম্মা’

শীত আসছে, শিশুর যত্নে যা খেয়াল রাখতে হবে

ডেস্ক রির্পোট

প্রকাশিত:
২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:০২

অগ্রহায়ণ এল। ভোরের বাতাসে হিম হিম আবেশ। শীত আসতে খুব দেরি নেই। মৌসুম বদলের পুরোটা জুড়েই বাড়ে নানান রোগবালাই। শিশুরা বেশ ভোগে এই কয়েকটা মাস। তাই সচেতন থাকতে হবে। সাধারণ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে শিশুর অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যাই প্রতিরোধ করা যায়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক শাহেদুর রহমান বলেন, ‘কিছু বিষয় সব সময়ের জন্যই প্রযোজ্য। এই যেমন শিশু এবং শিশুর পরিচর্যাকারী ব্যক্তির হাত পরিষ্কার রাখা। শুষ্ক আবহাওয়ায় যখন জীবাণু সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে, তখন হাত ধোয়ার সু–অভ্যাসটি থাকলে অনেক জীবাণু থেকেই বাঁচতে পারে শিশু। পর্যাপ্ত পুষ্টিতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা শক্তিশালী হয়। মৌসুমি শাকসবজি ও ফলমূলে প্রয়োজনীয় নানান উপাদান থাকে। সবজি খিচুড়ি শীতের এক দারুণ খাবার। আবহাওয়া বুঝে বাকি বিষয়গুলো ঠিকঠাক করে নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।’


তাপমাত্রা ঠিকঠাক
ভারী পোশাক পরালে খেয়াল রাখুন, ভেতরটা ঘামছে কি না। এই মৌসুমে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র চালাবেন না। ফ্যান চালালেও খেয়াল রাখুন, কখন তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। যেমন ভোররাতে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হয়। এমন সময়ে ফ্যান বন্ধ করে দিন। শিশুরা ঘুমের মাঝে গা থেকে কাঁথা-কম্বল ফেলে দিতে পারে। শেষ রাতে অবশ্যই খেয়াল করুন, এগুলো ঠিকঠাক আছে কি না।

শিশুর গায়ে প্রতিদিন রোদ লাগানো ভালো
শিশুর গায়ে প্রতিদিন রোদ লাগানো ভালোছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
কেমন হবে পোশাক?
শিশুকে অবশ্যই সুতি, আরামদায়ক পোশাক পরাতে হবে। প্রয়োজনে সুতি পোশাকের সঙ্গে বাড়তি একটি পোশাক পরিয়ে দিন। হিম হিম সময়ে মাথা ঢেকে রাখুন অবশ্যই। মোজাও পরিয়ে রাখুন। নবজাতকের প্রতি বাড়তি খেয়াল রাখুন, ওদের মাথা সব সময়ই ঢেকে না রাখলে সহজেই দেহের স্বাভাবিক উত্তাপ হারিয়ে যায়। বাড়ে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা।

ত্বকের যত্ন যেভাবে নেবেন
গোসল হোক কুসুমগরম পানিতে। নবজাতককে ১-২ দিন পরপর গোসল করানোই যথেষ্ট (তবে জন্মের ৭২ ঘণ্টা পেরোনোর আগে নয়)। মুখ-চোখ মুছে মাথা ধুয়ে, মুছে এরপর শরীর ধোয়াতে হবে। দুই বছরের কম বয়সী অন্য শিশুদেরও বেশি শীতে রোজ গোসল করানোর দরকার নেই। প্রয়োজনে কুসুমগরম পানিতে শরীর মুছে দিন। অবশ্য হুটোপুটি করে ধুলাময়লা লাগলে রোজ গোসল প্রয়োজন। তবে সবারই গোসল হতে হবে ঝটপট। শরীরের সব ভাঁজ ভালোভাবে মুছে দিন। গোসলের মিনিট দশেক আগে অলিভ অয়েল বা শিশুর উপযোগী অন্য তেল মালিশ করতে পারেন। গোসলের পরেও একই তেল লাগিয়ে দিন কিংবা শিশুর উপযোগী লোশন। শর্ষের তেল শিশুর কোমল ত্বকের উপযোগী নয়।

ধুলায় অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে বাইরে যাওয়ার সময় শিশুকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহ দিন। আপনিও মাস্ক পরুন।

শিশুকে রোজ খানিকক্ষণ রোদে রাখুন। তবে হিম হাওয়ার সময় নয়। একেবারে খালি গায়ে তো নয়ই।

ছয় মাস পেরোলে রোজ মধু দিতে পারেন কিংবা কুসুমগরম পানিতে মেশানো লেবুর রস।

শ্বাসকষ্ট, নাক থেকে পানি পড়া, শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় বুক দেবে যাওয়া বা বুকে শব্দ হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

 


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর