প্রকাশিত:
১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৩৮
পাবনার ঐতিহ্যবাহী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আয়োজনে দিনব্যাপী মা সমাবেশসহ স্কুলশিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মা সমাবেশ ও মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.স.ম. আব্দুল রহিম পাকন।
পৌর এলাকার শিবরামপুরে বাংলাদেশ ঈদগা মাঠে এই মেলার আয়োজন করা হয়।
স্কুল পরিচালনা পরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ ঈদগা মাঠ কমিটির সভাপতি মো. ইমদাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রোস্তম আলী হেলালী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস সুলতানা ও পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক আহম্মেদ-উল-হক রানাসহ স্থানীয় শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
মেলায় ২০টি স্টলে ১০৮ জন শিক্ষার্থীর ৫২টি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রদর্শন করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩য় থেকে ১০ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এ মেলার আয়োজন। মেলায় শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের মেধায় বিজ্ঞান মনস্ক চিন্তায় আধুনিক নগর গঠনসহ বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে প্রযুক্তির ব্যবহার তুলে ধরে তারা।
উদ্ভাবনী মেলায় শিক্ষার্থীরা নিজ জেলা শহরকে আধুনিকায়ন, আধুনিক গ্রাম বাংলা, পানি ও সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার, শিল্পকলকারখারা বিষাক্ত ধোয়া থেকে পরিবেশ রক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহার, পরিবহনে চম্বুক শক্তিকে কাজে লাগানোসহ ইলেকট্রিক ডিভাইস ব্যবহারে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করে।
মেলাতে আসা অভিভাবকেরা জানান, এই উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনী মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পাশাপাশি তাদের মেধাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। মোবাইল গেমে আসক্ত না হয়ে তারা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় নিজেদেরকে আগামী দিনের জন্য তৈরি করছে। স্মর্ট বাংলাদেশ গঠনে এদের চিন্তা চেতনা আবিষ্কার কাজে লাগবে। এই ধরনের উদ্যোগ আরও বেশি বেশি করে হওয়া দরকার। একই সঙ্গে এই তরুণ শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন উদ্ভাবন ও আবিষ্কারকে কাজে লাগাতে হবে। শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে আরও বড় পরিসরে মেলার আয়োজন করার দাবি জানান তারা।
আয়োজকরা জানান, সামাজিক ও বিজ্ঞান ভিত্তিক জ্ঞান বিকাশের জন্য প্রতিবছরই এই ধরনের আয়োজন আমরা করে আসছি। তবে এবারের আয়োজনটা একটু বড় পরিসরে করা হয়ছে। আমরা চাই মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে এই শিক্ষার্থীরা ভূমিকা রাখবে। মোবাইল ফোনে আসক্ত থেকে দূরে রাখতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই ধরনের আয়োজন করা দরকার।
একই সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করে তবে এই উদ্যোগ সফল হবে।
অনুষ্ঠানে পাঁচশতাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিটি স্টোল পরিদর্শন করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।
মন্তব্য করুন: