সোমবার, ৭ই অক্টোবর ২০২৪, ২২শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সেপ্টেম্বরে সড়কে প্রাণ গেল ৪২৬ জনের
  • পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি: সিপিডি
  • অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা
  • ব্যাংক নোটে নতুন নকশা, বাদ যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ছবি
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

সরকার নির্ধারিত ১২ টাকা মূল্যে ডিম বিক্রি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১৬ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:২২

সরকারের বেঁধে দেয়া প্রতিটি ডিম ১২টাকা দরে বিক্রির ট্রাকসেল (খোলা বাজারে) কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবন চত্ত্বরে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।


জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পৃষ্ঠপোষকতায় কার্যক্রমে সহায়তা করছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। ঢাকার ১৬ থেকে ২০টি পয়েন্টে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। পরবর্তীতে দাম আরও কমলে সেই দামে ভোক্তারা ডিম পাবেন বলে জানানো হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডিমের বাজার ঠিক রাখতে আমরা প্রতিটা গ্রুপের সাথে আমরা মিটিং করেছি। অর্থাৎ, ভোক্তা থেকে শুরু করে আমাদের কর্পোরেট গ্রুপ বিশেষ করে যে প্রান্তিক খামারীরা আছেন। সেখানে আসলে একটা সমস্যা আছে। প্রান্তিক খামারীরা এখনো ৮০ শতাংশ ডিম উৎপাদন করেন। কর্পোরেট গ্রুপ তারা এখানে যেটা করেছে, কন্ট্যাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে যেকোনো ভাবেই হোক, টোটাল সারা দেশের ডিমের বাজারটা নিয়ন্ত্রণ করছিল।

তিনি বলেন, গত বছর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পর আমরা ধারণা করেছিলাম, এ বছর একটা সিস্টেমে চলবে। কিন্তু, দেখা গেল যে গত ৬ আগস্টের ১২ টাকার ডিম হঠাৎ করে ৯ আগস্ট ১৫ টাকা হয়ে গেল। এবং এ বছরও সেরকম একটি কারসাজির নীলনকশা করা হয়েছিল।

এরপর ব্যাপকভাবে আমরা সারাদেশে অভিযান করেছি। তখন আমরা ১২টাকায় আনতে না পারলেও সাড়ে ১২টাকায় ডিমের দাম এনেছিলাম। তখন আমাদের প্রাণীসম্পদমন্ত্রী উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫০ পয়সা, এবং খুচরা বাজারে ১২টাকা নির্ধারণ করেন। কিন্তু, আমরা সেটি সাড়ে ১২টাকা পর্যন্ত এনেছিলাম।

এর কারণ হলো, উৎপাদক পর্যায়ে সাড়ে দশ টাকা আনা সম্ভব হয়নি। তখন সারাদেশে উৎপাদক পর্যায়ে ১১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ১১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত ডিমের দাম ছিল। তারা বলেছিলেন, খাবারের দাম বৃদ্ধির জন্য এ দাম রাখা হয়। কিন্তু আমাদের গবেষণায় দেখা যায়, তারা বিদেশ থেকে খাবার আমদানীতে খরচ দেখিয়েছিলেন। এরপর আমরা এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি মিটিংও করেছি। এটা নিয়ে প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ও কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, আসলে প্রান্তিক খামারীদের খাবার থেকে শুরু করে সবকিছু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কিনতে হয়। এ কারণেই আসলে তারা পোষাতে পারে না। এরপর, গত বৃহস্পতিবার পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার আমার সাথে যোগাযোগ করল। তারা সরাসরি খামার থেকে এনে ১২ টাকায় ডিম বিক্র করবে। এবং এরই ধারাবাহিকতায় আজকে এই কার্যক্রম আমরা উদ্বোধন করলাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান পিএসসি। এছাড়া ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর