লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৩ লাখ শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ১ম রাউন্ডের জন্য এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। ১৮ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রে কেন্দ্র শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বুধবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর।
এ সময় তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়, শিশুর দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে, অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে, সকল ধরনের মৃত্যু হার শতকরা ২৪ ভাগ হ্রাস করে, হাম জনিত মৃত্যু হার ৫০ ভাগ হ্রাস করে ও ডায়রিয়া জনিত মৃত্যু হার ৩৩ ভাগ হ্রাস করাসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ১ম রাউন্ডে জেলার ১ হাজার ৪৮০টি কেন্দ্রে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন করা হবে। এর মধ্যে স্থায়ী ও অস্থায়ী কেন্দ্র রয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদরে ১ লাখ ১২ হাজার, রায়পুরে ৪৪ হাজার ৩০২, রামগঞ্জে ৪৫ হাজার ১০১, রামগতিতে ৪১ হাজার ২৮৩, কমলনগরে ৩৬ হাজার ৬৪৭ এবং লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় ১৭ হাজার ৩০৩ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৩ হাজার ৬৮৫ এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১ জনসহ ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩৬ জন শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল।
প্রথম সারির সুপার ভাইজারের তত্ত্বাবধানে জেলাজুড়ে কাজ করবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। এর মধ্যে স্বাস্থ্য সহকারী, এফডব্লিউএ, সিএইচসিপি ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার বিশ্বনাথ মজুমদার। এ সময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন: