প্রকাশিত:
১৪ জুন ২০২৩, ১৭:৩৪
নাজমুল হোসেন শান্তর দেড়শ মিস করার পর নামেন লিটন দাস। টাইগারদের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অবশ্য প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।
আফগান স্পিনার জহির খানের অফ সাইডের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে থাকা ইব্রাহীম জাদরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন (৯)।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬৫ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩০৪ রান। মুশফিক ১৮ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৯ রানে ব্যাট করছেন।
বুধবার (১৪ জুন) শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সকালে দেশের ১২তম টেস্ট অধিনায়ক লিটন দাস টস হারলে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুতে উইকেটের সুবিধা কাজে লাগায় আফগানিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তারা পায় উইকেটের দেখা।
টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান পেসার নিজাতউল্লাহ মাসুদ। তার হালকা মুভ করা বল জাকিরের ব্যাটে লেগে উইকেটের পেছনে চলে যায়। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানরা। এতে একটি কীর্তিও গড়েন মাসুদ। আফগানিস্তানের প্রথম ও বিশ্বের ২২তম বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট নেন তিনি। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার চামিলা গামাগে আউট করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে, সেটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম।
এই উইকেটের পরও বেশ কিছু বলে ব্যাটারদের ভুগিয়েছেন সফরকারী বোলররা। পেসারদের বলে বাউন্স দেখা যাচ্ছিল বেশ ভালো। কিন্তু তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করতে পারেননি। দিনের প্রথম ১৫তম ওভারে গিয়ে স্পিনার নিয়ে আসে আফগানিস্তান। তারাও খুব একটা বিপদে ফেলতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটারদের।
সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়ও। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাঞ্চের আগেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। বিরতি থেকে ফেরার ঘণ্টাখানেক পর এই ব্যাটার পেয়ে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। আমির হামজা হোতাকের বলে রান নিয়ে ২৩ মাস পর সাদা পোশাকে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি।
১১৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকানো শান্তকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ফিফটি তুলে নিয়ে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। কিন্তু তিন অঙ্ক ছোঁয়া হলো না এই ডানহাতি ওপেনারের। আফগান স্পিনার রহমত শাহর নিরীহ দর্শন বলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন জয়, ব্যক্তিগত ৭৬ রানে। তার বিদায় ভাঙে ২১২ রানের জুটি।
মুমিনুল নেমেও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১টি ছক্কা ও চার মেরে আর ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ২৫ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এটি ছিল মাসুদের দ্বিতীয় উইকেট। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন শান্ত। কিন্তু ব্যক্তিগত দেড়শর আগেই বিদায় নেন তিনি। এর আগে নিজাত মাসুদের বাউন্সার সামলাতে গিয়ে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন শান্ত। কিন্তু ‘নো’ বলের কারণে বেঁচে ফেরেন তিনি। তবে ৩ রান যোগ করার পর ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আমির হামজার হাতে। ১৭৫ বলে ২৩ চার ও দুই ছক্কায় ১৪৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
মন্তব্য করুন: