প্রকাশিত:
৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৩:৪১
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশের অবিচল পারস্পরিক আস্থা নিয়ে আমরা সবসময়ই সন্তুষ্ট। চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্ক ২০১৬ সালে সহযোগিতার কৌশলগত অংশিদারিত্বে উন্নীত হয় এবং ২০১৯ সালে গভীরতা পায়।
চীন ও বাংলাদেশ মূল স্বার্থ ও উদ্যোগের বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করে।
রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে গণ চীনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ চাইনা সিল্ক রোড ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, হাজার বছর আগেও চীনের সাথে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ সালে চীনে গিয়েছেন। ১৯৫৭ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যান। এই সফরে চীনের মহান নেতা মাও সেতং এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার দেখা চীন নিয়ে ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি লিখেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০১০, ১৪ ও ১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে গিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে চীনা প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীরতর করেছে। তারপর থেকে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পে চীন সহযোগিতা করে চলেছে। সম্প্রতি ২০২৩ সালে ব্রিকস সম্মেলনে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট দুই দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং দুই দেশের সম্পর্কের অধিকতর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। চীন বাংলাদেশের সম্পর্ক আমরা আরও গাঢ় করার জন্য প্রয়াস রয়েছে। আমাদের বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে আমরা মনে করি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল এর সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ চাইনা সিল্ক রোড ফোরাম এর চেয়ারম্যান দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।
মন্তব্য করুন: