প্রকাশিত:
৮ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪৩
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে গড়ে তোলা হাইটেক পার্কে ভারতের ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
হাইটেক পার্কে বিনিয়োগে ভারতের উদ্যোক্তাদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, সিলেটের তামাবিলে ইকোনমিক জোনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
এখানে বিনিয়োগ করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে দুই দেশের মানুষ উপকৃত হবে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ ডায়ালগ ১১তম রাউন্ডের তৃতীয় ও সমাপনী দিনের অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, আমরা হাইটেক পার্কে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও করে দিয়েছি। এসব জায়গায় যে কেউ এসে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, তামাবিলে ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রাখলেও তাদের (ভারতের বিনিয়োগকারীদের) কোনো সাড়া মিলেনি।
তিনি আরও বলেন, সিলেট শিলচর উৎসবকে ঘিরে বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য প্রসার ঘটবে। দুদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারিত করতে মৈত্রী উৎসবে আলোচিত বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে।
তবে, ভারতের মেডিকেল ভিসা পাওয়া যতটা সহজ, অন্যান্য ভিসা ততটা কঠিন এবং সময় লাগে। এছাড়া পর্যটক ভিসাও সহজ, কারণ সেখানে মানুষ ঘুরতে যায়। কিন্তু ভারতে ওয়ার্কিং ভিসা নিয়ে যাওয়ার খুব বেশি সুযোগ নেই। তবে ভারতীয়রা বাংলাদেশে কাজের জন্য আসে।
সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ'র সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরার ডেপুটি চিফ মিনিস্টার জিশনো দেব বর্মন, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অশিম কুমার উকিল।
অনুষ্ঠানে ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের সভাপতি ডা. রাধা তমাল গোস্বামী বলেন, আমি মনে করি, চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ব্যতিক্রম। তারপরও এককভাবে কিছু করলে ভালো হয় না। তাই এই ফ্যাস্টিভাল দুই দেশের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় সহজ করে দিয়েছে। এ আয়োজনের সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর সিলেটে অনুষ্ঠিত হয় ‘সিলেট শিলচর উৎসব’র ২য় পর্ব বাংলাদেশ-ভারত ৩ দিনের মৈত্রী উৎসব।
ওইদিন পাঁচ তারকা হোটেল গ্র্যান্ড সিলেটে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের অতিথিরা আলোচনায় অংশ নেন।
এতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে এবং উভয় দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা উন্নয়নের স্বার্থে প্রতি বছরের ন্যায় এবারের এ সংলাপ।
সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে ছয়জন মন্ত্রী, ২০ জন সংসদ সদস্যসহ জাতীয় নেতারা অংশ নেন। ভারত থেকে ১৪০ জনের প্রতিনিধিদল সংলাপে অংশ নেয়।
এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ এস এম শামছুল আরেফিন সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত এ সংলাপের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ভারতের সাবেক মন্ত্রী এম জে আকবর ও ভারতের হাই কমিশনার মি. প্রণয় ভার্মা।
গত ৬ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সর্বশেষ শনিবার (৭ অক্টোবর) সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
আলোচনা পর্ব শেষে দুই বাংলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মনিপুর নৃত্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন: