সোমবার, ৭ই অক্টোবর ২০২৪, ২২শে আশ্বিন ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • সেপ্টেম্বরে সড়কে প্রাণ গেল ৪২৬ জনের
  • পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ১৪ হাজার ৪২১ কোটি টাকার ক্ষতি: সিপিডি
  • অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে বন্যাঝুঁকি আরও বাড়বে: রিজওয়ানা
  • ব্যাংক নোটে নতুন নকশা, বাদ যেতে পারে বঙ্গবন্ধুর ছবি
  • মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
  • ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
  • সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে: আসিফ নজরুল
  • বৈরী আবহাওয়া, উপকূলীয় অঞ্চলে নৌযান চলাচল বন্ধ
  • শহীদ পরিবারের পক্ষে আজ মামলা করবে নাগরিক কমিটি
  • ৪ বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত

বৃষ্টি নেই, তবুও কমেনি দুর্ভোগ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৪৭

মৌসুমি বায়ু ও লঘুচাপের মিলিত প্রভাবে গত বুধবার (০৪ অক্টোবর) সকাল থেকে শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) দিনগত রাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। তিন দিনে ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১২৬ মিলিমিটার।

টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক জায়গায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এখন বৃষ্টি নেই। তবুও কমেনি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। সড়কের খানাখন্দে জমে থাকা কাদাপানিতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তারা।

এদিকে বুধবার ও বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর) বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা যায় যানজট। শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় যানজট থেকে কিছুটা স্বস্তি পান জনগণ। তবে যানজট না থাকলেও ঢাকার নিচু অঞ্চলগুলোতে জলজট তৈরি হয়।

শনিবার (০৭ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, বৃষ্টি না থাকলেও শহরের অনেক জায়গায় রাস্তা সংস্কার ও ড্রেনেজ সিস্টেমের কারণে জলাবদ্ধতা থেকেই গেছে। এছাড়া বিভিন্ন সড়কে থাকা খানাখন্দে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। এসব রাস্তায় কোনো গাড়ি গেলে ভাঙা অংশের পানি ছিটকে পড়ে। এছাড়া সড়কের গর্তে ছোট গাড়ি বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা পড়ে কখনও স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেলে পেছনে যানজট তৈরি হয়।

রাজধানীর হাতিরঝলিলে বিদ্যুতের লাইনের জন্য খোড়াখুড়ি শেষ হলেও এখনও রাস্তায় করা হয়নি কার্পেটিং। এতে করে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতেই হাতিরঝিলের রামপুরা থেকে মগবাজার পর্যন্ত রাস্তায় পানি জমে যায়।

এদিকে ভারী বা হালকা বৃষ্টিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পূর্ব বাড্ডা ও আশেপাশের এলাকা থাকে হাঁটু পানির নিচে। এই এলাকার পোস্ট অফিস রোড, বৈঠাখালি সড়ক, আনন্দনগর, রুপনগর জয়বাংলা মোড়, জোড়া খাম্বা এলাকা গত সাত দিন ধরেই জলাবদ্ধতার মধ্যে আছে।

নতুন করে যে ১৮টি ইউনিয়ন ঢাকা উত্তর সিটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তার মধ্যে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের এসব এলাকায় পানি জমলে টানা সাতদিনেও তা নামে না। এর সঙ্গে আছে ভাটারা ও সাতারকুল এলাকা।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, ধানমন্ডী, আজিমপুর, নিউমার্কেট এলাকায় জলজট তৈরি হয়েছিল বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীর দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ।

বাড্ডা এলাকায় রিকশাচালক শফি মিয়া জানান, বাড্ডায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। প্রতিবার একই পরিস্থিতি হলেও তা আর ঠিক করা করা হয় না। তখন কাজের জন্যে বের হওয়ার উপায় থাকে না। আর ভেতরের সড়কগুলোতে অনেক ভাঙা অংশ থাকায় সেগুলোতে অনেক সময় ধরে পানি জমে থাকে। ভাঙা দিয়ে রিকশা চালাতেও কষ্ট হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় ঢাকায় ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হলেও বৃহস্পতিবার রাতের বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা শহরে যানজট হলে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। এরপর বৃষ্টিতে গাড়ি চলাচল ধীরগতি হলে চাপ আরও বেড়ে যায়। এছাড়া বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর