প্রকাশিত:
৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৭
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) ডিসিপ্লিনের আয়োজনে ‘টেকসই উন্নয়নে বায়োটেকনোলজি’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, বায়োটেকনোলজি একবিংশ শতাব্দীর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কৃষি, পশুপালন, ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান বায়োটেকনোলজির ভূমিকার কারণে উপকৃত হয়েছে। বায়োটেকনোলজিতে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দ্রুতগতি সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
উপাচার্য বলেন, বায়োটেকনোলজি স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তিস্বাস্থ্য কেন্দ্রিক ওষুধের পথ তৈরি করেছে, একজন ব্যক্তির জেনেটিক মেকআপের উপর ভিত্তি করে উপযোগী চিকিৎসার নির্দেশ করে। বায়োটেকনোলজি শস্যের ফলন বৃদ্ধিতে, কীটপতঙ্গ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে এবং টেকসই চাষাবাদ পদ্ধতির প্রশেয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ক্রমবর্ধমান বিশ্ব জনসংখ্যাকে খাওয়ানোর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার সাথে সাথে, কৃষির পরিবেশগত প্রভাব কমিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উদ্ভাবনী সমাধান সরবরাহ করে বায়োটেকনোলজি। পরিবেশ বিজ্ঞানের সঙ্গে বায়োটেকনোলজির সংযোগ জৈবভিত্তিক বিকল্প, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভিনব পদ্ধতির জন্ম দিয়েছে। এই উদ্ভাবনগুলো টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে অবদান রাখছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর সমাধান করবে।
সম্মেলনে প্লেনারি স্পিকার হিসেবে বায়োটেকনোলজির ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির বিভিন্ন দিক পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুরের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তোফাজ্জেল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিই ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শেখ জুলফিকার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক কমিটির সচিব প্রফেসর ড. মো. মুরছালিন বিল্লাহ। পরে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি ছয়টি সায়েন্টিফিক সেশনে সম্পন্ন হবে। প্রতিটি সেশনে দেশি-বিদেশি আমন্ত্রিত বক্তা পৃথক পৃথক রিসোর্স পার্সন হিসেবে তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করবেন। সম্মেলনটি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে পরিচালিত হবে। কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, সুইডেন এবং ভারতের গবেষকগণ এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। এ সম্মেলনে প্রায় ১৭৫ জন শিক্ষক/গবেষক/বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন সেশনে সরাসরি গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করবেন।
মন্তব্য করুন: