প্রকাশিত:
৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:২৪
রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারের (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ইউনিভার্সিটির ৮ম সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষতা, গবেষণা এবং উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য আমি উত্তরা ইউনিভার্সিটির ভূয়সী প্রশংসা করছি। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান প্রজন্মকে লালন-পালন করে দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। উত্তরা ইউনিভার্সিটি স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হয়ে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা প্রমাণ করেছে।
শিক্ষমন্ত্রী বলেন, আজ এদিনটি জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য দিন, কারণ আজ আমরা আমাদের স্নাতকদের অ্যাকাডেমিক সাফল্য উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছি। আমি গ্রাজুয়েটদের অভিনন্দন জানাতে চাই যারা তাদের অ্যাকাডেমিক যাত্রা জুড়ে অটুট নিষ্ঠা, অধ্যবসায় এবং বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতূহল প্রদর্শন করে এ পর্যন্ত এসেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বে আমাদের সরকার দেশের শিক্ষার মান উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আজকের গ্রাজুয়েটরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করবে এটাই আমার প্রত্যাশা।
তিনি আরও বলেন, প্রিয় স্নাতকরা, আপনারা যখন কর্মজগতে পা রাখবেন, মনে রাখবেন আপনার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা আলোকবর্তিকা হয়ে আপনাকে সীমাহীন সম্ভাবনার দিকে নিয়ে যাবে। সাহসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জগুলোকে আলিঙ্গন করবেন, উৎসাহের সঙ্গে সুযোগগুলোর কাছে যাবেন এবং আপনারা আপনাদের পেশাদার যাত্রা শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শিখতে এবং নিজেকে প্রসারিত করতে থাকুন। আমি সবশেষে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী সব গ্রাজুয়েটদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের সামনের যাত্রা সাফল্য, পরিপূর্ণতা এবং আমাদের জাতি এবং বিশ্বের জন্য অর্থপূর্ণ অবদানে পূর্ণ হোক।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। সমাবর্তনে প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, সমাবর্তন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। কারণ এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি দেওয়া হয়। একজন শিক্ষার্থীর জীবনে এ ধরনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি তার ভবিষ্যৎ কর্মজীবন ও আত্মবিশ্বাস অর্জনে অত্যন্ত তাৎপর্যময়। দেশের শিক্ষার বিস্তার এখন উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল। আপনাদের অর্জিত জ্ঞান আপনারা শুধু নিজেদের জন্যেই ব্যবহার করবেন তা নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি আপনাদের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা কাজে লাগাতে হবে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণের জন্যে। আশা করি আপনাদের বাবা-মা, অভিভাবক ও শিক্ষকরা সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। আপনারা হবেন আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দূত। বহির্বিশ্বে আপনারা হবেন রাষ্ট্রের দূত।
উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৮ম সমাবর্তনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আরা লেখা।
এছাড়া সমাবর্তনে উপস্থিত সব অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার কাজী মহিউদ্দিন।
উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৮ম সমাবর্তনে আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরা ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান বদরুল ইকবালসহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য, বুদ্ধিজীবী, রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা এবং সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যরা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় পপ সংগীত ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’ এর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উত্তরা ইউনিভার্সিটির ৮ম সমাবর্তন সমাপ্তি হয়।
মন্তব্য করুন: