রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে
  • আবারও যাত্রাবাড়ী মোড় অবরোধ ব্যাটারি রিকশাচালকদের
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে

বাংলাদেশ-জাপান ১৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১ অক্টোবর ২০২৩, ১০:৪৮

বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

জাপান সরকারের ৪৪তম ওডিএ লোন প্যাকেজের দ্বিতীয় ব্যাচের আওতাধীন মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্টের সপ্তম পর্যায়ে ঋণের জন্য এ চুক্তি হয়।

জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের ইওয়ামা কিমিনরি রাষ্ট্রদূত বিনিময় নোট এবং বাংলাদেশস্থ জাইকা অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইশিগোছি তোমোহিদি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এনইসি-২ সভা কক্ষে ওই ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়।

ঋণচুক্তিটির আওতায় জাপান সরকার বাংলাদেশকে ২১৭,৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (আনুমানিক ১,৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ঋণ সহায়তা প্রদান করবে। এ ঋণের বাৎসরিক সুদের হার নির্মাণকাজের জন্য ১ দশমিক ৬০ শতাংশ, পরামর্শক সেবার জন্য শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ এবং ফ্রন্ট ইন্ড ফি (এককালীন) শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। এ ঋণ ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।

অব্যাহত বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষে প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট (৬০০ মে:ও:X২ ইউনিট) আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের কাজ চলছে।

প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫১,৮৫৪.৮৮ কোটি টাকা (জিওবি ৬,৪০৬.১৬ কোটি, জাইকা ৪৩,৯২১.০৩ কোটি, সিপিজিসিবিএল সংস্থা নিজস্ব ১ হাজার ৫২৭ কোটি ৬৯ লাখ কোটি টাকা।

প্রকল্পের মেয়াদকাল জুলাই ২০১৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২৬। আগস্ট ২০২৩ সময় পর্যন্ত প্রকল্পের বাস্তব অগ্রগতি ৭৮ দশমিক৩০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৫ দশমিক ১৪ শতাংশ জাইকা পর্যায়ক্রমে ঋণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

আগে ৬টি পর্যায়ে মোট ৪৩৭,৭৫৪ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েনের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ৪৪তম ওডিএ লোন প্যাকেজের (২য় ব্যাচ) আওতায় সপ্তম পর্যায়ে ২১৭,৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন প্রদান করা হবে।

দ্বি-পাক্ষিক পর্যায়ে জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত জাপান সরকার বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন সেক্টরে উল্লেখযোগ্য সহায়তা প্রদান করেছে।

অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামাঞ্জস্য বজায় রেখে জাপান সরকার অবকাঠামো উন্নয়ন, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পল্লী উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন ও মানব সম্পদ উন্নয়নসহ অন্যান্য খাতের প্রকল্পে ঋণ ও বিভিন্ন প্রকার অনুদান সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর