রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে
  • আবারও যাত্রাবাড়ী মোড় অবরোধ ব্যাটারি রিকশাচালকদের
  • অক্টোবরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৫ জন নিহত
  • বোয়ালখালীতে আগুনে ৫ বসতঘর পুড়ে ছাই
  • ঢাকায় আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি রদ্রিগেজ
  • প্রথমবার সচিবালয়ে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
  • এস আলমের ঋণ জালিয়াতি, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের ১৩ জনকে তলব
  • সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
  • ড. ইউনূসের ভিশনের দিকে তাকিয়ে যুক্তরাজ্য: ক্যাথরিন ওয়েস্ট
  • ২০২৫ সালে সরকারি নির্মাণে পোড়া ইট ব্যবহার বন্ধ হবে

শুরু হলো জিপি এক্সেলারেটরের ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:০৫

তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে “জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা” শীর্ষক রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প শুরু করেছে গ্রামীণফোনের ফ্ল্যাগশিপ স্টার্টআপ ইনোভেশন প্ল্যাটফর্ম জিপি এক্সেলারেটর।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সংগঠক, স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা, জিপি এক্সেলারেটরের (জিপিএ) এলামনাই, সংশ্লিষ্ট শিল্পের বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষকরাসহ নানা খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব ও অংশীজনদের উপস্থিতিতে এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।


আঞ্চলিক পর্যায়ে আয়োজনটির সফল ও কার্যকরী বাস্তবায়ন নিশ্চিতে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে জিপি এক্সেলারেটর’কে সহযোগিতা করছে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড।
“জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা” শীর্ষক এ আয়োজন মূলত আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা ও স্থানীয়ভাবে নানা সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণে উৎসাহিত করবে। ৩০ জন কমিউনিটি বিল্ডারের সমন্বয়ে এবং দেশের ২০টি অঞ্চলে পিচ সেশনের মাধ্যমে আয়োজনটি সেরা ২০ জন ‘আইডিয়াপ্রেনর’ খুঁজে বের করবে এবং তাদের পুরস্কৃত করবে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী এবং সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এ আয়োজনটি ডিজাইন করা হয়েছে। উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা দেবে রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প। এ প্রচেষ্টা বাংলাদেশের যুব জনসংখ্যার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট নেশন হওয়ার লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও সামি আহমেদ, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনী মানসিকতা আর উদ্যোগী স্পৃহাকে কাজে লাগাতে একটি শক্ত ভিত্তি গড়ার ক্ষেত্রে জিপি এক্সেলারেটরের “জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা” আয়োজনটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের চাই দক্ষ তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক, আর এরকম আয়োজনগুলো তরুণদের অন্তর্নিহিত সম্ভাবনাকে বের করে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। হাজারো তরুণ ‘আইডিয়াপ্রেনর’ খুঁজে বের করা ও স্টার্টআপ গুলোর পাশে দাঁড়াতে গ্রামীণফোন যে প্রশিক্ষণ ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছে, তার প্রতি আমার সাধুবাদ রইল। গ্রামীণফোন এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ- এর এ অংশীদারত্ব আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ রূপকল্পের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে। ভবিষ্যতে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে আয়োজনটির ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাব বলেই আমার বিশ্বাস।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়তে গ্রামীণফোন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জিপি এক্সেলারেটর আমাদের এ প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। “জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা” শীর্ষক রিজিওনাল ডিজাইন বুটক্যাম্প সারা দেশে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবনকে অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে আমাদের চলমান প্রচেষ্টার নতুন একটি ধাপ। এ উদ্যোগের অন্যতম লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানো। তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো উল্লেখযোগ্য আঞ্চলিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে বলে আমরা আশাবাদী। এ বুটক্যাম্প হাজারো উদ্যোক্তাকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সাহায্য করার পাশাপাশি স্টার্টআপ কমিউনিটির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে, যা সম্মিলিতভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখবে।

২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে দেশের স্টার্টআপ খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে জিপি এক্সেলারেটর। এটি ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লাখ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। এর আওতায় নানা সম্ভাবনাময় স্টার্টআপের বাজারমূল্য ১০ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে এবং ৫০ লাখ মার্কিন ডলারেরও বেশি ভ্যালুয়েশন অর্জন করেছে। এ থেকে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জিপি এক্সেলারেটরের অবদান অনুধাবন করা যায়।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর