সোমবার, ২১শে এপ্রিল ২০২৫, ৮ই বৈশাখ ১৪৩২ | ই-পেপার
ব্রেকিং নিউজ:
  • সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করা হচ্ছে। আগ্রহী হলে আপনার সিভি ই-মেইল করতে পারেন। ই-মেইল daajkaal@gmail.com
সংবাদ শিরোনাম:
  • খুলনা নগরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, নেতা-কর্মীদের খুঁজছে পুলিশ
  • ভাত খাওয়ার সময় যুবদলকর্মীকে গুলি করে হত্যা
  • বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে
  • আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জন ট্রাইব্যুনালে
  • বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের প্রথম ধাপ
  • দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১২ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস
  • ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
  • তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
  • চাটমোহরে শিশু জুঁই হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • বর্ষবরণে রমনায় মানুষের ঢল

ডিমের বাজারে নেই আমদানির প্রভাব

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:১৯

বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে আপাতত চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশের চার প্রতিষ্ঠান এক কোটি করে এ ডিম আমদানি করতে পারবে।

আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দাম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।

কিন্তু বিকার নেই ডিমের বাজারে। আমদানির খবরে কোনো প্রভাবই পড়েনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে। সরকারের নির্দেশনাকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না তারা। তাদের ভাষ্য, ‘সরকার পারলে ডিম কম দামে বিক্রি করুক। আমরা লস করতে পারবো না। ’

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ডিমের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ঘুরে ‘আগের দামেই বিক্রির’ বিষয়টি দেখা গেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে মনিটরিং করছে। অভিযানও চালাচ্ছে সংস্থার সদস্যরা। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না।

বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। লাল ফার্মের ডিম হালি এখনো ৫৫-৬০ টাকা; ডজন ১৬৫-১৭০ টাকা

তেজগাঁও রেলগেট এলাকার খুচরা ডিম বিক্রেতা আব্দুল হালিম বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করলে লাভ হয় না বললেই চলে। সরকার আমদানি করে ১২ টাকা পিস দরে বিক্রি করুক। তাতে আমাদের সমস্যা নেই।

মায়ের দোয়া স্টোরের ব্যবসায়ী জয়নাল হোসেন বলেন, আমদানি নিয়ে আমরা চিন্তিত না। আমদানি করা ডিম যদি কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়, করুক। আমরা তো আর লসে বিক্রি করতে পারি না।

বাজারে ডিম কিনছিলেন মো. আহাদ নামের এক ক্রেতা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আলুর দাম বাড়াকে না হয় ‘আলুর দোষ’ বলে চালানো যায়৷ কিন্তু, ডিমের দাম বাড়াকে কি বলব? এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া, তাদের অভিযানের একটু পরই আবার বিক্রেতারা পুরনো দামে বিক্রি শুরু করে।

দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এজন্য ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু তার আগেই বাজারের বিক্রেতারা যেভাবে সরকারকে অগ্রাহ্য করছেন, তাতে আদৌ কোনো লাভ হবে না বলে মনে করছেন সাধারণ জনগণ।

আবু সালেহ নামে এক ক্রেতা বলেন, সরকার যেসব সিদ্ধান্ত নেয়, সাধারণ মানুষ তা মানে না। সেই সুযোগ নেয় বিক্রেতারা। তারা সিন্ডিকেট করে মানুষের ঘাড়ের ওপর চেপে বসে। আবার এই সিন্ডিকেটে নাকি হাত দেওয়া যাবে না বলে সরকারের লোকজন মন্তব্য করেন। বাজারগুলোয় কড়া অভিযান প্রয়োজন। দুয়েকটা বাজারে অভিযান চালিয়ে লাভ হবে না। প্রয়োজন ‘কট অ্যান্ড কাটের’ মতো সিদ্ধান্ত। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সরকারকে লাইসেন্স বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাড়তি দামে বিক্রির মতো ঘটনায় অন্তত ৬ মাসের জেল। তাছাড়া এমন পরিস্থিতি ঠিক করা সম্ভব হবে না।


মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর